—প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত শর্ত চাপিয়ে দেওয়া জামিন কোনও জামিনই নয় বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এমন জামিন দেওয়ার অর্থ ডান হাতে যা দেওয়া হচ্ছে তা বাঁ হাতে নিয়ে নেওয়া।
গত কাল বিভিন্ন রাজ্যে ১৩টি মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ বেশ কয়েক ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
আবেদনের শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায়, ১৩টি মামলাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু সব মামলায় জামিনদার জোগাড় করতে পারেননি। জামিনের ক্ষেত্রে নীতিই হল অতিরিক্ত শর্ত চাপিয়ে দেওয়া জামিন কোনও জামিনই নয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি মামলায় বেশ কয়েক জন জামিনদার জোগাড় করা অভিযুক্তের পক্ষে সত্যই কঠিন। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘সাধারণত জামিনদার হন অভিযুক্তের কোনও আত্মীয় বা বন্ধু। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় খুব কম ব্যক্তিই জামিনদার হতে রাজি হন। অপরাধের প্রকৃতির উপরেও জামিনদার পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে। কারণ, এমন মামলার কথা আত্মীয়-বন্ধুদের কথা জানাতে অভিযুক্তেরা দ্বিধা করেন।’’
বেঞ্চের মতে, এই বিষয়গুলি ভারতীয় জীবনের বাস্তব। তাই আদালত সেগুলি নিয়ে চোখ বুজে থাকতে পারে না। তবে আইনের পরিধির মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। জামিনদার পাওয়া এবং সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হরিয়ানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় জামিনদার জোগাড় করতে পেরেছেন অভিযুক্ত। কিন্তু রাজস্থানের মামলায় পারেননি। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে মামলা রয়েছে। প্রতি রাজ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড দেবেন। দুই জামিনদার দেবেন মোট ৬০ হাজার টাকার বন্ড। এক রাজ্যে যাঁরা জামিনদার হচ্ছেন তাঁরা অন্য রাজ্যেও জামিনদার হতে পারবেন।