—প্রতীকী চিত্র।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল তিন মাসের শিশু। ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে নিয়ে যাওয়া হল হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে। বুকে গরম লোহার রড দিয়ে একাধিক বার ছ্যাঁকা দেওয়া হল। আশা, তাতেই সারবে নিউমোনিয়া। সেটাই নাকি রোগের মোক্ষম দাওয়াই! পরিণতিও হল মারাত্মক। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার। সেখানে বৈগা নামের এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে লোহার রডের এই রেওয়াজ প্রচলিত। অসুস্থ শিশুদের গায়ে গরম লোহার ছ্যাঁকা দেওয়াই সেখানে নিয়ম। কিছু দিন আগে দেড় মাসের এক শিশুও একই নৃশংসতার শিকার হয়েছিল। দেহে ৪০টি ছ্যাঁকার দাগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম রাগিনী। তাকে প্রথমে নিউমোনিয়া নিয়ে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি একাধিক বার শিশুটির দেহে লোহার ছ্যাঁকা দেন বলে অভিযোগ। তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে আধমরা অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কিছু দিন তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে যখন তাঁদের কাছে নিয়ে আসা হয়, তার অন্তত ১০ দিন আগে তাকে লোহার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। তার সারা শরীরে ছিল পোড়া দগদগে ক্ষত। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও অনুরূপ ঘটনায় মধ্যপ্রদেশে এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে।