এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য সমস্ত রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
শুনানি চলেছিল লাগাতার ৪০ দিন। শুনানির শেষে রায় সংরক্ষিত করে রেখেছিল শীর্ষ আদালত। আজ শনিবার সেই অযোধ্যা মামলার রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলার রায় দেবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর সঙ্গে এই সাংবিধানিক বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও রকম অশান্তির সৃষ্টি না হয় সে কারণে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
আগামী ১৭ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার আগেই তিনি অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। সেই অনুযায়ী তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে প্রতিদিন শুনানি হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর এই মামলার শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। শুক্রবারই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজেন্দ্র কুমার এবং ডিজি ওমপ্রকাশ সিংহ। এই বৈঠককে ঘিরেই জোর জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি দু’-এক দিনের মধ্যেই অযোধ্যা মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে এগোচ্ছে বুলবুল, কলকাতায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা, ভারী বৃষ্টিও চলবে
অযোধ্যা মামলা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য সমস্ত রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অন্তত ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন হয়েছে। পাঁচ বিচারপতিরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে আগামী সোমবার পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ-সহ কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি এবং রাজস্থানে স্কুল এবং কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ রাখা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে শান্তি বজায় রাখা আহ্বান জানিয়েছেন। লখনউ ও অযোধ্যাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে হেলিকপ্টার। পাশাপাশি দিল্লিকেও কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর সংবেদনশীল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে সরকার।