বাবরি ধ্বংস আইনভঙ্গ: সুপ্রিম কোর্ট

এ দিনের রায়ে ১৯৩৪, ১৯৪৯ ও ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদে যা ঘটেছিল তারও কড়া সমালোচনা করেছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, ওই ঘটনাগুলি আইন ভাঙার খুব বড় নজির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

সুপ্রিম কোর্ট।

অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমির উপরে রাম জন্মভূমি ন্যাসের অধিকার স্বীকার করে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে এ দিনের রায়ে ১৯৩৪, ১৯৪৯ ও ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদে যা ঘটেছিল তারও কড়া সমালোচনা করেছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, ওই ঘটনাগুলি আইন ভাঙার খুব বড় নজির। যে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিকার করা উচিত।

Advertisement

বিচারপতিরা রায়ে জানিয়েছেন, ১৯৪৯ সালে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী রাতে বাবরি মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রাখা হয়। তখন মুসলিমদের আইন মেনে সেখান থেকে সরানো হয়নি। বরং তাঁদের প্রার্থনা জানানোর স্থান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এর পরে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৫ ধারা মেনে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারপতিদের বক্তব্য, ‘‘এর পরে মামলা চলাকালীনই রীতিমতো হিসেব কষে মসজিদ ধ্বংস করা হয়। ৪৫০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি মসজিদ থেকে বঞ্চিত হন মুসলিমেরা।’’ তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া আশ্বাস সত্ত্বেও ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদ ধ্বংস করা হয়। এটা আইন ভাঙার বড় নজির।

এর পরে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘অন্যায় হয়ে থাকলে তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।’’ মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বেঞ্চ জানিয়েছে, বিতর্কিত ভূমির উপরে অধিকার নিয়ে হিন্দু পক্ষ মুসলিম পক্ষের চেয়ে বেশি প্রমাণ দিতে পেরেছে। কিন্তু ১৯৪৯ ও ১৯৯২ সালের ঘটনায় মুসলিমেরা মসজিদ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই মুসলিমদের অধিকারের প্রতি আদালত দৃষ্টি না দিলে সুবিচার হবে না। সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালের সময়ে হিন্দু পক্ষের তরফে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ইসলামি রীতি মেনে তৈরি হয়নি। কিন্তু সেই যুক্তি মানেনি শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement