—প্রতীকী ছবি।
সন্তানদের নিয়ে অটোয় চেপে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন মহিলা। তাড়াহুড়োয় অটো থেকে নামার সময় ব্যাগ নিয়ে নামতে ভুলে যান। সোনার গয়না-সহ সেই ব্যাগের ভিতর ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের জিনিস। মহিলা যাত্রী নেমে যাওয়ার পর বাড়ির পথে ফিরছিলেন অটোর চালক। অটোর ভিতর ব্যাগ দেখে পুলিশকে সেই সোনাভর্তি ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত গড়লেন অটোর চালক। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার ওড়িশার ভদ্রক এলাকায় ঘটে। অটোর চালকের নাম ইনায়ত খান। মহিলার নাম শুভস্মিতা লেংকা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তালানগর এলাকা থেকে শুভস্মিতা তাঁর সন্তানদের নিয়ে ইনায়তের অটোয় চেপে বসেন। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগও। ঝামঝাড়ি এলাকায় পৌঁছলেই তাড়াতাড়ি অটো থেকে নেমে পড়েন তিনি। কিন্তু তাড়াহুড়োতে তাঁর ব্যাগ অটোর মধ্যেই ফেলে চলে যান শুভস্মিতা।
ইনায়ত জানান, মহিলাকে ঝামঝাড়িতে নামানোর পর চরম্পার রাস্তা ধরেছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে তিনি লক্ষ করেন অটোর ভিতর একটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। ইনায়ত বুঝতে পারেন এই ব্যাগটি মহিলা যাত্রীর। সঙ্গে সঙ্গে তালানগর এবং ঝামঝাড়ি এলাকায় ওই মহিলাকে খুঁজতে যান তিনি। কিন্তু শত খোঁজাখুঁজির পরেও শুভস্মিতাকে খুঁজে পাননি ইনায়ত। শেষ পর্যন্ত ভদ্রক থানায় ব্যাগটি জমা করে দেন তিনি। খোঁজ পেলে থানা থেকে নিজের ব্যাগ সংগ্রহ করে নিয়ে যান শুভস্মিতা।
শুভস্মিতা জানান, বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন বলে তাঁর ব্যাগের ভিতর প্রচুর সোনাদানা ছিল। ছিল অন্যান্য দামি জিনিসপত্রও। সব মিলিয়ে মোট পাঁচ লক্ষ টাকার জিনিস ছিল তাঁর ব্যাগে। ইনায়তকে ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ইনায়ত বলেন, ‘‘ব্যাগের ভিতর যে এত মূল্যবান জিনিস ছিল তা আমি জানতাম না। ব্যাগটি খুলেও দেখিনি আমি। শুধু চেয়েছিলাম ব্যাগটি সেই মহিলা যাত্রী ফেরত পেয়ে যান।’’