—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পেটিএমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আরবিআই জানিয়ে দিয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে পারবে না তারা। কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট বা ফাসট্যাগে কোনও টাকা জমা নিতে বা ক্রেডিটে লেনদেনও করতে পারবে না। কেন এই ‘শাস্তি’? আরবিআই জানিয়েছিল, ‘ক্রমাগত নিয়ম লঙ্ঘন’ এবং তত্ত্বাবধানের অভাবেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন লেনদেন মাধ্যমটির উপরে।
কী কী ‘নিয়মলঙ্ঘন’ করেছে পেটিএম?
সূত্রের খবর, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অনিয়মের জন্যই কোপের মুখে পড়েছে সংস্থাটি। ওই অ্যাপে উপযুক্ত তথ্য, পরিচয় ছাড়াই হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ অ্যাকাউন্টেই কেওয়াইসি বা সাধারণ ব্যাঙ্কিং তথ্য ঠিক নেই। দেখা গিয়েছে, একটি প্যান নম্বর থেকেই অন্তত হাজার অ্যাকাউন্ট পেটিএমের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এর ফলে আর্থিক দুর্নীতির সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই তড়িঘড়ি পেটিএমের লেনদেনে রাশ টানছে সরকার।
অভিযোগ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই যে অ্যাকাউন্টগুলি পেটিএমে খোলা হয়েছে, সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। আরবিআই ওই অ্যাকাউন্টগুলির নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আশাহত হয়েছে। প্রায় কোনও অ্যাকাউন্টেরই উপযুক্ত নথি মেলেনি বলে অভিযোগ।
আরবিআইয়ের সন্দেহ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া যে অ্যাকাউন্টগুলি পেটিএমে রয়েছে, সেগুলির কোনওটা আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সহজেই প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে এ ভাবে দুর্নীতির টাকা লেনদেন সম্ভব। সূত্রের খবর, পেটিএমের এই অনিয়মের কথা আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, পেটিএমে এই সম্ভাব্য দুর্নীতি খতিয়ে দেখবে ইডি।
পেটিএমের অভিভাবক সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড আরবিআইয়ের কোপে পড়েছে। ওই সংস্থার মাধ্যমে লেনদেনে গোপন তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও তারা জানিয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারির পরেও গ্রাহকেরা পেটিএম অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন। পেটিএম অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকলে তা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকেরা। সেভিংস এবং কারেন্ট, দুই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।