—ফাইল চিত্র।
চিনের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ বার মালাবার নৌ মহড়ায় যোগ যোগ দিতে চলেছে অস্ট্রেলিয়াও। সোমবার ভারতের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের শেষ দিকে, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নৌ মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে।
চলতি মাসের শুরুতে টোকিয়োয় চার দেশের বিদেশমন্ত্রী বিশেষ আলোচনাসভায় যোগ দেন। সেখানেই অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার নৌ মহড়ার অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ ওঠে। তার পর বিষয়টি আলোচনা স্তরে আটকে ছিল। কোন পথে মহড়া শুরু করা যায়, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এত দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সে সব নিয়ে আলোচনা চলছিল। অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্ভুক্তির পর অক্টোবরের শেষ দিকে আবার ভার্চুয়াল আলোচনাসভা বসবে।
এ দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোই ভারতের লক্ষ্য। এ বছর মালাবার মহড়ায় অস্ট্রেলীয় নৌ বাহিনীকেও অংশ নিতে দেখা যাবে। এতে অংশগ্রহণকারী সকল দেশের নৌ বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় গড়ে উঠবে’।
আরও পড়ুন: লাদাখে ভারতীয় সেনার হাতে আটক এক চিনা সেনা
১৯৯২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মালাবারে দ্বিদেশীয় নৌ মহড়াই চালিয়ে আসছিল ভারত। ২০০৭ সালে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে তাতে যোগদান করতে আমন্ত্রণ জানানো হয় অস্ট্রেলিয়াকে। সে বার জাপান এবং সিঙ্গাপুরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তাতে তীব্র আপত্তি জানায় চিন। তার জেরে বেশ কয়েক বছর ধরে মালাবার নৌ মহড়া দ্বিদেশীয় মহড়া হিসেবেই চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলাই গড়েছে ফারাক, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাবে ভারত চতুর্থ
কিন্তু সময় যত এগতে থাকে, ততই দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য বাড়তে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে ২০১৫ সালে জাপানকে মালাবার নৌ মহড়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে সেই ত্রিদেশীয় মহড়ায় পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চেয়ে অনুরোধ জানায় অস্ট্রেলিয়া। চিনের আপত্তির কথা ভেবে তা নিয়ে দিল্লির তরফে কুণ্ঠা ছিল। কিন্তু লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে অস্ট্রেলিয়াকে নৌ মহড়ায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে দিল্লি আসলে বেজিংকেই কড়া বার্তা দিল বলে মত কূটনীতিবিদদের।