উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ শাবল-গাঁইতি দিয়ে খোঁড়া শুরু হবে শীঘ্রই। কারণ, ওই পথের মূল বাধা সরানো গিয়েছে। আমেরিকান যন্ত্রের ভাঙা যে টুকরোগুলি সুড়ঙ্গে আটকে ছিল, সোমবার সকালে তা সরিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। ফলে রাস্তা এখন অবাধ। শীঘ্রই শাবল-গাঁইতি নিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকবেন উদ্ধারকারীরা।
দু’দিক থেকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উপর থেকে উল্লম্ব ভাবে খোঁড়া শুরু হয়েছে রবিবারই। যন্ত্রাংশ সরানোয় সোমবার সামনের দিক থেকে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়ে যাবে। সামনের দিক থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে অধিকাংশ রাস্তাই খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বাকি কেবল ১০ থেকে ১২ মিটার। হাত দিয়ে খুঁড়ে সেই রাস্তা অতিক্রম করে ফেলতে চান উদ্ধারকারীরা।
এ ছাড়া, উল্লম্ব ভাবে খুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য মোট ৮৭ মিটার পথ খোঁড়া দরকার। রবিবার প্রথম দিকে ২০ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মোট ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বড় কোনও বিপদ না হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে বড় বাধা আসে। ২৫ টন ওজনের আমেরিকান যন্ত্রটি ধ্বংসস্তূপের ভিতরে লোহার কাঠামোয় আটকে যায়। যন্ত্রের অনেক অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তাতে। কিছু কিছু যন্ত্রাংশ ভিতরেই আটকে ছিল। তা না সরানো পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ওই অংশে আর হাতই দেওয়া যাচ্ছিল না। যন্ত্রটিও আর মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ।
এর পর সেই শুক্রবার থেকেই যন্ত্রাংশ সুড়ঙ্গ থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু যন্ত্রের ব্লেডগুলি এমন ভাবে লোহায় আটকে ছিল যে, তা সরাতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। ভারী যন্ত্রটিও সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা সহজ ছিল না। তাতে সময় লাগছিল। অবশেষে সোমবার সকালে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে উত্তরকাশীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধানসচিব পিকে মিশ্র এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব এস এস সান্ধু।