কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ‘সংঘাত’ অব্যাহত। ছবি: সংগৃহীত।
কেরলের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করা নিয়ে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে ঘিরে বিতর্কের রেশ এখনও মেটেনি। এই আবহে এ বার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী কেএন বালগোপালকে ক্যাবিনেট থেকে সরানোর দাবি তুললেন রাজ্যপাল। এই মর্মে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে বুধবার চিঠি দিয়েছেন তিনি।
বিজয়নের কাছে লেখা চিঠিতে রাজ্যপালের দাবি, ১৯ অক্টোবর রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ভাষণে দেশের ঐক্যের অবমূল্যায়ন করেছেন বালগোপাল। ওই ভাষণে আঞ্চলিকতা এবং প্রাদেশিকতা আগুনে উস্কানি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে বালগোপাল যে নিজের শপথবাক্য লঙ্ঘন করেছেন, তা-ও মনে করেন রাজ্যপাল। অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ওই উপাচার্যদের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের নির্দেশের বিরুদ্ধে উপাচার্যরা আদালতের দ্বারস্থ হলে মঙ্গলবার তাঁদেরকে শো-কজ নোটিস পাঠায় রাজভবন। যা নিয়ে রাজ্যপাল আরিফের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের ‘সংঘাত’ অব্যাহত। এই আবহেই রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে কেরলে। যদিও বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত আরিফের চিঠির জবাব দেননি বিজয়ন।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বালগোপালের একটি মন্তব্য নিয়ে আগেই জলঘোলা হয়েছে। চলতি মাসের গোড়ায় নিজের ভাষণে রাজ্যপালের নাম না করে বালগোপালের কটাক্ষ ছিল, ‘‘যাঁরা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন, যেখানে উপাচার্যরা সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তাঁরা কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্পর্কে অবগত নন।’’ যদিও সে সময় রাজ্যপালকে চিঠি লিখে বিজয়নের দাবি ছিল, রাজ্যপালের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা ওই ভাষণের উদ্দেশ্য ছিল না।
বুধবারের চিঠি নিয়ে বিজয়ন মুখে কুলুপ আঁটলেও সরব হয়েছেন রাজ্য সিপিআই সম্পাদক কে রাজেন্দ্রন। তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক যে রাজ্যপাল নিজের অধিকার, কর্তব্য এবং দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু জানেন না।’’ যদিও আরিফ বনাম বিজয়ন সংঘাতকে বিরোধীরা নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।