—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খানাপিনার দেদার আয়োজন। মদ পরিবেশনের জন্য রাখা হয়েছিল মহিলাদের। বসেছিল বিশাল জুয়ার আসর। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আচমকা হানায় ফাঁস হল গোপন ক্যাসিনো। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিল্লির একটি খামারবাড়ি থেকে গ্রেফতার হলেন মোট পাঁচ জন। দিল্লি পুলিশের দাবি, ওই বিশাল জুয়ার আসরে ছিলেন দিল্লির বিত্তশালীরা। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন ইমারতির কারবারি, তেমনি আছেন বড় ব্যবসায়ী থেকে জমি ব্যবসায়ী। পুলিশের হানায় ইতিউতি পালানোর চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। বেশ কয়েক জন পালিয়েও যান। গ্রেফতারির পর একটি মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বড়সড় ক্যাসিনো যেমন হয়, তার সব রকম ব্যবস্থা ছিল ওই খামার বাড়িতে। দামি দামি মদ সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। হুক্কা বার ছিল। জুয়ায় জিতলে বড় বড় সব পুরস্কার ছিল। বিদেশে ক্যাসিনো যেমন হয়, সে রকম ওই খামারবাড়িতে আয়োজন ছিল। ব্ল্যাকজ্যাক, পোকারের মতো খেলায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য মহিলাদের ‘আয়োজন’ করেছিলেন আয়োজকেরা। তল্লাশির সময় এমন ২২ জন মহিলাকে পাওয়া গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন। ‘‘ওই মহিলাদের আনা হয়েছিল প্রচুর টাকার প্রলোভন দেখিয়ে। তাঁদের কাজ ছিল মদ দেওয়া-সহ বিভিন্ন আমোদপ্রমোদের মাধ্যমে অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখার।’’
ওই অভিযানে চারটি টেবিল থেকে প্রচুর নগদ টাকা, টোকেন, হুক্কা পায় পুলিশ। ছিল বেআইনি ভাবে সরবরাহ করা প্রচুর মদ। সব মিলিয়ে ৮ লক্ষ টাকা নগদ মিলেছে। এ ছাড়া, তাস, মিউজ়িক সিস্টেম, ক্যাসিনো টেবিল ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৯ বছরের অমিত কুমার, ২৯ বছরের সত্যেন্দ্র সহগল, ৩৭ বছরের তেজেন্দ্র সিংহ এবং ৪৩ বছরের মিঠুন তানেজা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে ওই ক্যাসিনোর আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাসিনোয় ঢোকার ‘মন্ত্র’ ছিল। ‘গুরুজি’ বললেই ক্যাসিনোর পাহারাদার দরজা খুলে দিতেন।