নিজস্ব চিত্র।
ভারতে জ্যোতিষের প্রতি আস্থা বড় অংশের মানুষের। কিন্তু তেমন ভরসা করতেন না ইঞ্জিনিয়ার পুনীত গুপ্ত। কিন্তু জীবনের এক সঙ্কটময় মুহূর্তে বন্ধুর অনুরোধেই গিয়েছিলেন এক জ্যোতিষীর কাছে। সেখানেই ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছিলেন যে, ইঞ্জিনিয়ার নয়, ব্যবসায়ী হিসেবেই সাফল্য পাবেন তিনি। তখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে থাকলেও পরে জ্যোতিষীর কথা মতো ব্যবসা শুরু করেন। সেটাও আবার জ্যোতিষকে নির্ভর করে। তৈরি করেন এক জ্যোতিষ বিষয়ক ওয়েবসাইট। গত চার বছরে সেই ওয়েবসাইটে গিয়েছেন দু’কোটি মানুষ। আর সেখান থেকেই এখন ইঞ্জিনিয়ার থেকে ব্যবসায়ী হওয়া পুনীতের দৈনিক আয় ৪১ লাখ টাকারও বেশি।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জ্যোতিষ বিষয়ক ওয়েবসাইটের মালিক পুনীতের কাহিনি। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন মুম্বইয়ের একটি সংস্থায়। কিন্তু ২০১৫ সাল নাগাদ চাকরিজীবন টলোমলো হয়ে যায়। দিন কাটছিল হতাশায়। তখনই এক সহকর্মী বন্ধু পুনীতের উদ্বেগের কথা জানতে পারেন। সব শোনার পরে জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। কিছুটা জোর করেই এক মহিলা জ্যোতিষীর কাছে নিয়ে যান পুনীতকে।
শিক্ষিত যুবক হয়ে তিনি কী করে জ্যোতিষীর কাছে যাবেন তা নিয়ে প্রথমে কুণ্ঠায় ছিলেন পুনীত। কিন্তু এখন দেখছেন, কাকতালীয় ভাবে সে দিন শোনা কথাগুলি তাঁর পরবর্তী জীবনে মিলে গিয়েছে। ভবিষ্যৎ গণনা করে জ্যোতিষী জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি চাকরি ছেড়ে একটি আইটি স্টার্টআপ খুলবেন পুনীত। সঙ্গে এক বন্ধুও থাকবেন। কিন্তু বছর দুয়েক পরে সেই বন্ধু সঙ্গ ছাড়ায় বন্ধ হয়ে যাবে স্টার্টআপ। এর পরে পুনীত আরও একটি স্টার্টআপের উদ্যোগ নেবেন এবং সাফল্য পাবেন। পুনীত নাকি তখন গোটাটা বিশ্বাস না করেও চাকরিটা ছেড়ে দেন।
কিন্তু সত্যি সত্যিই এর পরে পুনীত একটি স্টার্টআপ গড়ে তোলেন এক বন্ধুকে সঙ্গী করে। তার পরে সেই ব্যবসা বেশ চালু হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এবং সেটাও ওই বন্ধু সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ায়। এর পরেই নতুন স্টার্টআপ পুনীতের— জ্যোতিষ বিষয়ক ওয়েবসাইট। সেটাও আবার ওই জ্যোতিষীর পরামর্শেই। তিনিই ভারতীয় সংস্কৃতি নির্ভর কিছু করতে বলেছিলেন পুনীতকে। এখন সেই ওয়েবসাইট নাকি বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার পথে ছুটছে। পুনীতের সংস্থায় কাজ করেন আড়াই হাজার জ্যোতিষ। সেই সংখ্যাটাও দিনে দিনে বাড়ছে।