সব কিছুকেই জয়ী হিসেবে চিহ্নিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাহুল গাঁধীকে আদৌ নয়। ছবি: পিটিআই।
রাজনাথ সিংহ পর্যন্ত কংগ্রেসের নাম করে অভিনন্দন জানালেন। কিন্তু তিনি নন।
তিনি জয়ের প্রধান কৃতিত্ব দিলেন ‘মানুষ’কে। পাশাপাশি ‘গণতন্ত্র’, ‘ন্যায়’, ‘সুবিচার, ‘দরিদ্র কৃষক’, ‘যুবশক্তি’, ‘দলিত’, ‘পিছড়ে বর্গ’— সব কিছুকেই জয়ী হিসেবে চিহ্নিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাহুল গাঁধীকে আদৌ নয়। এমনকি সে ভাবে কংগ্রেসকেও নয়।
একই পথে হেঁটেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডুও। টুইটারে তাঁর অভিনন্দনও ‘জয়ীদের’ জন্য। রাহুল বা কংগ্রেসের জন্য নয়। রাহুল নিজে যদিও সাংবাদিক বৈঠকে জোর গলায় বললেন, বিরোধীদের ঐক্য অটুট আছে। কিন্তু আগের দিনই যাঁরা ঐক্য প্রদর্শনের বৈঠক করলেন, তাঁদের মুখে আজ কংগ্রেসের নাম নেই কেন? কংগ্রেস কি ভাল ফল করেনি? দিনের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মমতার জবাব, ‘‘সেটাই তো স্বাভাবিক। ওখানে তো কংগ্রেসই শক্তিশালী ছিল।’’
দুপুরে ফলের ইঙ্গিতটুকু পেয়েই টুইট করেছিলেন মমতা। লিখেছিলেন, ‘‘মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এটা মানুষের রায় এবং মানুষের জয়। জয়ীদের অভিনন্দন।’’ সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে ফের মুখ খুলেছেন। কংগ্রেস তথা রাহুল গাঁধীর ভাল ফলাফল নিয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘‘এটা তো স্বাভাবিক। যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়াই করলে ভাল ফল করবে। এ ভাবে লড়াইয়ের কথা আগেই বলেছিলাম।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসই ছিল প্রধান বিরোধী দল। আমরা পূর্ণ সমর্থন করেছি।’’
আরও পড়ুন: মিজোরামে দশের গেরোয় কংগ্রেস
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের পুনরুত্থানে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব কমার সম্ভাবনা দেখেই কি মমতারা কিছুটা সতর্ক? তেলঙ্গানায় হারের ফলে চন্দ্রবাবু এমনিতেই আজ খানিক ম্রিয়মাণ। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, মমতাও বোঝাতে চাইছেন, রাশ আঞ্চলিক শক্তির হাতেই থাকা উচিত। গত কাল বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও মমতা অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যে দল যেখানে শক্তিশালী, সেখানে বাকিদের সভা করার জন্য। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘হিন্দি বলয় থেকে বিজেপি মুছে যাচ্ছে। বিহারে নির্বাচন হলে দেখা যাবে, লালুজির জোট জিতছে। সমস্ত রাজ্যের বিজেপি-বিরোধী শক্তি চাঙ্গা হলে ২০১৯-এ ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।’’
এ দিন ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা। দেখা করেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গেও।