প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ। কিন্তু পরিবারবাদীরা ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আমাকে কোনও কাজ করতে দেননি।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিজের আসন নিয়েই নিরাপদে নেই। তাই অসুস্থ বাবাকে এনে দাঁড় করাতে হচ্ছে। সবাই হাওয়ার গতি টের পাচ্ছেন। এত দিন যা ছিল নিরাপদ আসন, আজ তা আর নিরাপদ নয়।’’
ছবি— পিটিআই।
বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ থাকলেও মোটের উপর শান্তিতেই মিটল উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় দফার ভোট। একইসঙ্গে ভোট শেষ হল পঞ্জাবেও। নির্বাচন কমিশন জানায়, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্জাবে ভোট পড়েছে ৬৩.৪৪ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৭.৪৪ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে এ দিন ভোট হয় ৫৯টি বিধানসভা আসনে।
উত্তরপ্রদেশে মূল লড়াই বিজেপি বনাম এসপি জোট হলেও পঞ্জাবে লড়াই বহুমুখী। এ দিন পঞ্জাবে ভোটের বুথে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগে অভিনেতা সোনু সুদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নেয় পঞ্জাব পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোগা জেলায়।
এ দিকে উত্তরপ্রদেশে সকাল ৭টায় ভোট শুরু হতেই ইভিএমে গোলমালের অভিযোগ করতে থাকে এসপি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে কমিশন। এ দিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সস্ত্রীক এসপি প্রধান অখিলেশ। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দুই দফায় শতরান করে ফেলেছে এসপি জোট। পরের দুই দফায় দ্বিশতরানের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’’
অখিলেশকে পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তাঁর জনসভা ছিল উত্তরপ্রদেশেরই হরদইয়ে। সেখান থেকে অখিলেশের নাম না নিলেও ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘‘আমি উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ। কিন্তু পরিবারবাদীরা ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আমাকে কোনও কাজ করতে দেননি।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিজের আসন নিয়েই নিরাপদে নেই। তাই অসুস্থ বাবাকে এনে দাঁড় করাতে হচ্ছে!’’