কেসিআর জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি জেডি (এস) এর সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে বেঙ্গালুরু গিয়ে কথা বলবেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কেসিআরের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে জানিয়েছেন, তিনি হায়দরাবাদ গিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন।
টুইটার থেকে নেওয়া।
মোদী-বিরোধী ঐক্য তৈরিতে আরও এক কদম। মুম্বইয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। ২০২৪ লোকসভার আগে দেশে অ-কংগ্রেসি জোট গঠনের লক্ষ্যে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক’দিনের মধ্যেই তিনি তেলঙ্গানা গিয়ে কেসিআর (কে চন্দ্রশেখর রাও এই নামেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত)-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সামগ্রিক ভাবে সেই দৌত্যেরই অঙ্গ হিসেবে রবিবার বিশেষ বিমানে মুম্বই উড়ে গেলেন কেসিআর। বৈঠক হল শিবসেনা প্রধান ও এনসিপি প্রধানের সঙ্গে। দুই মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সারেন।
বৈঠক শেষে কেসিআর বলেন, ‘‘আমি মহারাষ্ট্রে এসেছি রাজনীতি ও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর দেশের অগ্রগতির ভবিষ্যত অভিমুখ নিয়ে আলোচনা করতে। উদ্ধবের সঙ্গে দেখা করে দারুণ ভাল লাগলো। আমরা বহু বিষয় আলোচনা করেছি। এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আমার মতোই ভাবেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই আলোচনা করব। আমরা এর মধ্যেই হায়দরাবাদ কিংবা অন্য কোনও জায়গায় মিলিত হব।’’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে বলেন, ‘‘যে এখন যা পরিস্থিতি এবং যে ভাবে শাসকের রাজনীতির মান তলানিতে এসে ঠেকছে, তা মোটেও হিন্দুত্ব হতে পারে না। এরকমই চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়। যে কেউ প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, আমরা দেশে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।’’
কেসিআর জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি জেডি (এস) এর সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গেও বেঙ্গালুরু গিয়ে কথা বলবেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও নিয়মিত কেসিআরের যোগাযোগ আছে, মমতার হায়দরাবাদ আসার কথাও রয়েছে।
ক’দিন আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন টেলিফোনে কথা বলেন মমতার সঙ্গে। তার পর তিনি জানান, বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া বাকি দলের মুখ্যমন্ত্রীরা দিল্লিতে একসঙ্গে বসে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে চান।