Assembly Election 2022

Uttar Pradesh: উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মা, তালিকায় ৪০ শতাংশ মহিলা

২০১৭-র উন্নাও গণধর্ষণ-কাণ্ডের মূল অপরাধী তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয় ২০১৯-সালে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৪১
Share:

উন্নাওয়ে প্রিয়ঙ্কা। ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। ১২৫ জন প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন ২০১৭ সালের উন্নাও গণধর্ষণ-কাণ্ডের শিকার কিশোরীর মা। ওই ঘটনার মূল অপরাধী তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাবাকে খুনের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে সেঙ্গারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সাজা ঘোষণার পরে কুলদীপকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা এখনও কানপুর লাগোয়া উন্নাও জেলার প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রী। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের পদক্ষেপ রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ১২৫ জনের প্রথম দফার প্রার্থীতালিকায় ৫০ জন মহিলা এবং ৪০ জন যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্গা গাঁধী আগেই জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে প্রার্থীতালিকায় ৪০ শতাংশ মহিলা থাকবেন। বুধবার প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস।

Advertisement

চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ২০১৭-র ৪ জুন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ। পরে তাঁর শাগরেদরা মিলেও ফের এক বার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সেই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। কিন্তু পুলিশ কুলদীপ সেঙ্গারের নামে অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। এর পর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা।

তার পর বছর ঘুরে গেলেও কুলদীপের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি যোগী সরকার। বরং কুলদীপের লোকজন নির্যাতিতার পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা করতে শুরু করে। উন্নাও আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন নির্যাতিতার বাবাকে মারধর করেন কুলদীপের ভাই অতুল ও তাঁর লোকজন। সেই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

এমন পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এর পরেই তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। ৯ এপ্রিল পুলিশি হেফাজতে নির্যাতিতার বাবার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর রক্তে বিষক্রিয়া এবং কোলনে ফুটো হয়ে যাওয়ার উল্লেখ ছিল। তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানা যায়। পরে প্রমাণিত হয়, কুলদীপই দুই পুলিশ অফিসারের সাহায্যে নির্যাতিতার বাবার উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন।

উন্নাও-কাণ্ডের সময় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। শেষ পর্যন্ত প্রবল জনরোষের মুখে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন সাজা পান কুলদীপ। ২০২০-র এপ্রিলে নির্যাতিতার বাবার উপর হামলা এবং অনিচ্ছাকৃত খনের অপরাধে কুলদীপ এবং অতুলের ৭ বছর জেলের সাজা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement