যোগী রাজ্যে বিজেপি-র জয় নিশ্চিত হতেই বুলডোজার র্যালি। ছবি- পিটিআই
২০১৭ সালেও মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ সালে জোট-জট শুরু হয়। বেরিয়ে যান এমজিপি বিধায়করা।
২০২২ বিধানসভা সৈকতরাজ্যের ভোটে অভিষেক হওয়া তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছিল গোমন্তক পার্টি। এ বার তারা পেয়েছে দুটি আসন। গোয়া বিজেপি-র পর্যবেক্ষক, মপারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের দাবি, এমজিপিও তাঁদের সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, বিজেপি-র ২০টি আসন, নির্দলের ৩টি এবং এমজিপি-র ২টি আসন মিলিয়ে মোট ২৫টি আসন। সরকার গড়তে আর কোনও সমস্যা নেই।
উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, পঞ্জাব ছাড়া বাকি তিন রাজ্যের ভোটবাক্সে গেরুয়া হাওয়া উঠেছে। দিল্লির বিজেপি সদর দফতরকে জনতাকে শুভেচ্ছা ও ধন্য়বাদজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রয়েছেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা।
‘‘গণতন্ত্র জনাদেশই প্রধান। আমাদের কর্মী-নেতারা পরিশ্রম করেছেন, সংগঠন করেছেন, জনগণের সমস্যা নিয়ে লড়াই করেছেন। কিন্তু, আমরা আমাদের পরিশ্রমকে ভোটে রূপান্তর করতে পারিনি।’’ উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যে হাতের ভরাডুবির পর বার্তা প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর।
এক সময় উত্তরপ্রদেশ শাসন করা বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে একটি মাত্র আসন। মায়াবতীর দলের এই ফলাফলে মর্মাহত মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বললেন, ‘গণতন্ত্রের দুঃখের দিন।’
উত্তরপ্রদেশে টানা দু’বার জয় যোগী আদিত্যনাথের। প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়ে জয়ী তিনি। লখনউয়ে যোগীর আবাসের বাইরে পটকা, আতসবাজি পুড়িয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবি কংগ্রেসের। পঞ্জাবে ক্ষমতা ধরে রাখত পারলেন না চন্নীরা। হার স্বীকার করে জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন রাহুল গাঁধী। জানালেন, এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নেবেন। যার প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
হেরে গেলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী পুষ্কর সিংহ ধামী। খতিমা কেন্দ্র থেকে ৬ হাজারের বেশি ভোটে হারলেন এই বিজেপি প্রার্থী। যদিও উত্তরাখণ্ডের ৭০ আসনের মধ্যে ৪৮টিতে এগিয়ে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে আশাতীত ফলাফলের পর দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি-র। উপস্থিত অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা।
লখনউয়ের বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছলেন যোগী। কর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উচ্ছ্বাসের মাঝে আটকে গেল তাঁর গাড়ি। হাত নেড়ে শুভেচ্ছাবার্তা যোগীর।
পাঁচ রাজ্যে বিজেপির জয় থেকে নিশ্চিত যে আবার কেন্দ্রে আসছে মোদী সরকার, দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের।
গেরুয়া ঝড় অব্যাহত। উত্তরপ্রদেশের ৩০ আসনে ইতিমধ্যে জয় সুনিশ্চিত করেছে বিজেপি। গোরক্ষপুর থেকে জয়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি, আরও ২২০ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি জিতেছে তিনটি আসনে। ১১৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। পাশাপাশি, কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে।
ভোটমুখী পঞ্জাবে বিরোধীরা তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি তখন নিজেকে ভগত সিংহের ভক্ত বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ভগত সিংহকে ব্রিটিশরা সন্ত্রাসবাদী বলত। কিন্তু তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবে বিপুল জয়ের প্রেক্ষিতে আবার ভগত সিংহকে টেনে আনলেন কেজরী। বক্তৃতায় তুলে আনলেন তাঁর একটি উক্তি। জানালেন, মানুষকে সুষ্ঠু ও উন্নতমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াই আপের লক্ষ্য।
পঞ্জাব ছাড়া বাকি চার রাজ্যেই কার্যত গেরুয়া ঝড়। মণিপুরের ইম্ফল কেন্দ্রের প্রার্থী তথা বিদায়ী মুখ্যমনন্ত্রী এন বিরেন সিংহ জিতলেন ১৮ হাজার ২৭১ ভোটে।
‘এক মওকা দেনা আপ্পা কেজরীবাল নু, এক মওকা দেনা ভগবন্ত মান নু’, লুপে এই গান বেজে চলেছে পঞ্জাবের ধুরি-তে। সামনে নেচে চলেছেন আপ কর্মী ও সমর্থকরা। নিজের কেন্দ্রে জয়ের পরেই বক্তৃতা করলেন পঞ্জাবের হবু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। জানালেন, তিনি সাধারণ মানুষ হয়ে সাধারণের সেবা করবেন।
পটিয়ালা কেন্দ্রে হার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের। আপ প্রার্থী অজিত পাল সিংহের পরাজিত হলেন তিনি।
দুই আসনে পিছিয়ে তিনি। শুক্রবার হয়তো পদত্যাগ করতে পারেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছেন তিনি।
৪৫ হাজার ভোটে জয়ী হলেন আপ প্রার্থী ভগবন্ত মন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানালেন কেজরীবাল। পাশাপাশি গোয়ায় এ বার দুটি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি।
মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই হবে। পঞ্জাব জয়ের জন্য আম আদমি পার্টিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
পঞ্জাবে বিপুল ব্যবধানে জয়ের একেবারে সামনে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। একই সঙ্গে সৈকতরাজ্য গোয়াতেও খাতা খুলল তারা। গত বিধানসভা ভোটে লড়লেও একটি আসনও কেজরীর দল। এবার তৃণমূল প্রার্থী তথা বেনোলিমের প্রাক্তন বিধায়ক চার্চিল আলেমাওকে পরাজিত করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই আসনটি নিয়ে আশাবাদী ছিল গোয়ায় প্রথম বার ভোটে লড়া তৃণমূল।
দুর্নীতিবাজ ও বহিরাগতদের বাতিল করেছে সাধারণ মানুষ। গোয়ায় বিজেপি-র জয়ের ছবি পরিষ্কার হতেই মন্তব্য বিজেপি নেতৃত্বের। গোয়ার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রমোদ সবন্তের মন্তব্য, ‘‘এই জয়ের কৃতিত্ব দলের কর্মীদের। গোয়ায় বিজেপি সরকার গড়ছে।’’ তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তাঁরা।