UP Crime News

মধুফাঁদে ধরেছেন ডাক্তার, নেতা, পুলিশ! হাতিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা! অবশেষে জালে বরেলীর চক্রীরানি

বরেলীর বাসিন্দা রিনা সাগর মধুফাঁদ চক্রের অন্যতম মাথা। সম্প্রতি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ, এমনকি রাজনৈতিক নেতারাও তাঁর পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০৫
Share:

বরেলী থেকে গ্রেফতার মধুচক্রের অন্যতম পাণ্ডা রিনা সাগর। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ডাক্তার থেকে নেতা, পুলিশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার— বাদ দেননি কাউকেই। এক এক জনের জন্য এক এক রকম ‘ফাঁদ’ পেতেছিলেন। সেই মধুফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সেই ‘চক্রীরানি’ রিনা সাগর। নিজের রূপে ভুলিয়ে তিনি একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। গত আট মাস ধরে তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ।

Advertisement

বরেলীর বাসিন্দা রিনা একটি মধুফাঁদ চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে ওই চক্রের মূল পাণ্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু রিনা বার বার তদন্তকারীদের হাত থেকে ‘ফস্কে’ গিয়েছেন। পুলিশের চোখ এড়াতে দিল্লি, পঞ্জাবেও ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বরেলীতে আসার খবর গোপন সূত্র মারফত পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকেও ‘ফাঁসিয়েছিলেন’ রিনা। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার-সহ তাঁর শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এক ডাক্তার তো পরিস্থিতির চাপে পড়ে আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হন। অভিযোগ, ফোন করে বা অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ‘শিকার’ ধরতেন রিনা। বন্ধুত্ব একটু জমলে সামনাসামনি দেখা করতে চাইতেন। তাঁর রূপের মোহে অনেকেই মজেছিলেন। এর পর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো তৈরি করে তা ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন রিনা। ব্ল্যাকমেল করে আদায় করে নিতেন মোটা টাকা। সমাজে সম্মানরক্ষার কথা ভেবে সেই টাকা দিতে বাধ্য হতেন অনেকেই। অভিযোগ, গ্রাম প্রধানের কাছ থেকে একই কৌশলে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রিনা। বরদরী থানার স্টেশন ইন-চার্জ সুনীল কুমার জানিয়েছেন, রিনাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, রিনার ‘শিকার’ হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির এক জেলা সভাপতিও। শিবচরণ কাশ্যপ নামে ওই নেতা রিনা এবং তাঁর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বছর দুয়েক আগে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে রিনা তাঁকে জানান, তাঁর একটি ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা না-দিলে তা ভাইরাল করে দেওয়া হবে। টাকা না-দেওয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement