‘লভ জিহাদ’ রুখতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। ছবি: সংগৃহীত।
‘লভ জিহাদ’ রুখতে রাষ্ট্রীয় বজরং দলের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। সম্প্রতি অসমের সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। এ বার চাপের মুখে তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল অসম পুলিশ। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, প্রায় ৩৫০ তরুণকে নিয়ে পুরোদমে চলছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ। উদ্দেশ্য, লভ জিহাদ রুখে দেওয়া। বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন দাবি করে, মুসলিম সম্প্রদায়ের তরুণেরা প্রেমের জালে হিন্দু মহিলাদের ফাঁসিয়ে তাঁদের ধমান্তরণ করছেন। তাকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা নাম দিয়েছেন ‘লভ জিহাদ’। যে ভাষা প্রায়ই ব্যবহার করতে দেখা যায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা উত্তর-পূর্বের অন্যতম বিতর্কিত রাজনীতিবিদ হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২০ সালেই লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিয়েছিল, ‘লভ জিহাদ’ বলে কিছুর অস্তিস্ব আইনে নেই। কিন্তু তা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কায়দার বদল হয়নি কিছুই।
অসমের সাম্প্রতিক ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই তোলপাড় শুরু হয়। গণতান্ত্রিক দেশে এ ভাবে তরুণ সম্প্রদায়কে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিরোধীরা অস্ত্র শিবিরের উদ্যোক্তাদের গ্রেফতারির দাবিতে চাপ বৃদ্ধি করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে অসম পুলিশের ডিজিপি জিপি সিংহ দারাংয়ের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য জানিয়েছিলেন, তিনি হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে সমর্থন করেন। যদিও কিছু কিছু অপ্রীতিকর ব্যাপার যেমন জিহাদ বা জোর করে ধর্মান্তরণের মতো বিষয় যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে তা-ও জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত।