প্রতীকী ছবি।
অসমের গুয়াহাটিতে অনলাইনে প্রতারণাচক্রের পর্দা ফাঁস করল রাজ্যের অপরাধদমন শাখা। তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ১৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। ধৃতদের মধ্যে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা-সহ ৪৭ জন তরুণীও রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই অনলাইনে প্রতারণা অভিযোগ আসছিল তাদের কাছে। আর বেশির ভাগই অভিযোগ আসছিল গুয়াহাটি এবং তার আশপাশের এলাকাগুলি থেকে। বার বার এই অভিযোগ পেয়ে প্রতারণা চক্রটিকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশের অপরাধদমন শাখা। কোথায় কোথায় এই চক্র চলছে তার হদিস পেতে গুয়াহাটি এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে অভিযান চালায় তদন্তকারী দল।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশের বেশ কয়েকটি দল আটটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়ি, শপিং মলেও তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময় বড়সড় প্রতারণাচক্রের হদিস পায় পুলিশ। প্রতারকদের সেই দলে বেশ কিছু তরুণীও ছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী দল। মোট ১৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযানে এই চক্রের তিন পান্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, দেবজ্যোতি দাস ওরফে ডেভিড। তিনি করিমগঞ্জের বাসিন্দা। রাজেন সিদানা। তিনি পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। সিদানার দু’টি কলসেন্টারও রয়েছে। দিব্যম অরোরা নামে এই চক্রের আরও এক পান্ডাও গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর বাড়ি দিল্লিতে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বরবারি, রাজগড়, গান্ধীবস্তি, এবিসি পয়েন্ট এবং গণেশগুড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।
কী ভাবে চলত এই চক্র? পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের চাকর দেওয়ার নামে এই প্রতারণার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। বেশ কিছু ভুয়ো কলসেন্টারেরও হদিস পেয়েছে পুলিশ। ওই কলসেন্টারগুলি থেকে ‘অপারেশন’ চলত। ওই কলসেন্টারগুলির সঙ্গে দিল্লি, গুরগাঁও-সহ দেশের বহু ভুয়ো কলসেন্টারের সঙ্গে যোগ ছিল। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যোগেরও হদিস পেয়েছে পুলিশ। মূলত ভারত এবং আমেরিকার নাগরিকদের শিকার বানানো হত।