নদীর জলে ভেসে গেলেন দু'জন। অরুণাচলপ্রদেশের আনজাও জেলার ঘটনা। তবে অসমে বৃষ্টি কমায় বন্যার দাপট কমেছে।
পুলিশ জানায়, ছাগলম সার্কেলে দলাই নদীতে গত কাল ঘটনাটি ঘটেছে। ২০ দিন ধরে আনজাওয়ে বৃষ্টি চলছে। বাকি রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন আনজাওয়ের সড়ক ঠিক করতে কাজ করছে বিআরটিএফ। তাওয়াং ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আরও তিনটি স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ শিবির
খোলা হয়েছে। নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওয়াকচিং গ্রামে বৃষ্টি ও ধসে একটি সড়ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অনেক বাড়িও ভেঙে গিয়েছে ধস নেমে।
এ দিকে, অসমে বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীগুলির জল দ্রুত কমছে। শুধু ডিব্রুগড়ে বুড়িডিহিং বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ডিব্রুগড়ে কঠালগুড়িতে নদীর জলে ভেসে যায় একটি কাঠের সেতু। যোরহাটের শঙ্করদেব সেমিনারি স্কুলে ক্লাস চলার সময় শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে ৬ জন ছাত্র জখম হয়। তারা যোরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। এক জনের আঘাত গুরুতর। আগামী দু’দিন বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। সরকারি হিসেবে গত কাল যেখানে বন্যাকবলিতের সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৭২৯ জন, আজ তা কমে ৮ হাজার ৫৫৪ হয়েছে। গত কাল ত্রাণ শিবিরে ছিলেন ৭ হাজার ৪১২ জন। বেশিরভাগই বাড়ি ফিরেছেন। আজ ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ৮৫৪ জন। ৩৪টি গ্রামে ১২ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।