গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ছেলে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন এক বার। কিন্তু কাগজ দেখাতে পারেননি মা। তাই এ বার ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। অসমে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন সকলে যখন লাইনে দাঁড়িয়ে, তখন আফশোস করতে দেখা গিয়েছিল ওই বৃদ্ধাকে। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি-র খসড়া (এনআরসি) থেকে নাম বাদ পড়ায় বহু মানুষই এ বার ভোট দিতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাতে বিজেপি-র ভোটবাক্সে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি বলেই আভাস বুথফেরত সমীক্ষায়।
গত ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল এবং ৬ এপ্রিল, মোট তিন দফায় অসমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সোমবার ফল ঘোষণা। তার আগে বৃহস্পতিবার যে ক’টি বুথফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে, তার প্রায় সবক’টিতেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ৬৪। এখনও পর্যন্ত যে হিসেব সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, সর্বোচ্চ ৭২টি বিজেপি-র দখলে আসতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৫৩টি আসন।
ইন্ডিয়া টুডে-র অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ অসমে ৭৫ থেকে ৮৫টি আসন পেতে চলেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দখলে ৪০ থেকে ৫০টি আসন আসতে পারে। পি-মার্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, এনডিএ-র দখলে আসতে পারে ৭০ থেকে ৭২টি আসন। কংগ্রেস জোট পেতে ৫৬ থেকে ৬৪টি আসন পেতে পারে।
২০১৬-র নির্বাচনে অসমে ৮৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এ বারে অসম গণ পরিষদের সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেস এবং ৮টি আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে ৯২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তারা। কংগ্রেস ৯৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।