(বাঁ দিক থেকে) মণিপুরে হিংসার ঘরছাড়াদের শিবিরে রাহুল গান্ধী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রায় দু’মাস ধরে মণিপুরের হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সে রাজ্যের বিজেপি সরকার এবং কেন্দ্র। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার ‘মাথাব্যথা’ অবশ্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফর নিয়ে। শুক্রবার রাহুলের মণিপুর সফর প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও রাজনৈতিক নেতারই হিংসা থেকে ফয়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয়।’’
রাহুলের সফর মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে সহায়তা করবে না জানিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সাধারণত প্রচারে থাকার জন্যই এমন সফর হয়।’’ এরই মধ্যে মণিপুর সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে রাহুল শুক্রবার সকালে মৈরাং এলাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে যান। হিংসায় ঘরছড়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দুপুরে ইম্ফল এলাকার আরও কয়েকটি শিবিরে তিনি যাবেন। দিল্লি যাওয়ার আগে মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক বৈঠকও করতে পারেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, একদা কংগ্রেস নেতা হিমন্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেসকে নিশানা করে চলেছেন। গত বছর ভারত জোড়ো যাত্রার সময় কংগ্রেস নেতার লম্বা, অবিন্যস্ত দাড়ি প্রসঙ্গে তাঁর তির্যক মন্তব্য ছিল, ‘‘রাহুলের চেহারা এখন সাদ্দাম হুসেনের মতো হয়ে গিয়েছে।’’ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে রাহুল বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলায় মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হিমন্ত।