বিপিএফ নেতা হাগ্রামা মোহিলারি। ফাইল চিত্র।
বিজেপি আগেই ঘোষণা করেছিল, ‘বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)’-এর সঙ্গে জোট করে অসম বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে না দল। গত মাসের সেই ঘোষণার সূত্র ধরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করল বিপিএফ। জানিয়ে দেওয়া হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ভোটে লড়বে দল। বিপিএফ নেতা হাগ্রামা মোহিলারি বলেন, ‘‘শান্তি, ঐক্য ও উন্নয়নের কাজ করার জন্য ও অসমে একটি শক্তিশালী স্থায়ী সরকার তৈরির লক্ষ্যে বিপিএফ কংগ্রেসেক মহাজোটে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোটের সঙ্গে হাতে হাত ধরে লড়াই করবে দল।’’
২০০৫ সালে অসমে এই দল তৈরি হয়েছিল। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে অসমের ১২৬টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয় পেয়েছিল তারা। শুরুর দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ছিল বড়োভূমির এই দলটি। পরে বিজেপি-র সঙ্গে তাদের জোট তৈরি হয়। কিন্তু বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনে বিজেপি জোটসঙ্গী বিপিএফ-কে দূরে সরিয়ে হাত ধরে বড়োভূমির অন্য একটি দলের।
কিন্তু তার পরেও গত বছর ডিসেম্বরে বড়োল্যান্ড কাউন্সিলের নির্বাচনে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে জয় পায় বিপিএফ। একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসার ফলে রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায় দলের। তাতেও বিজেপি-র মন গলেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ভোটের পর বড়োভূমির অন্য দল ‘ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল’-কে ১২টি আসন জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানান।
সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছয় এই মাসের শুরুর দিকে। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা স্পষ্ট করে দেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিপিএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়বে না গেরুয়া শিবির। সেই পথ দিয়েই বিজেপি-র সঙ্গ ত্যাগের কথা জানাল বিপিএফ।