দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
৩৬টি জেলার মধ্যে ২৮টিতেই ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। স্রেফ মুম্বইতেই গত ৩ দিন ধরে সংক্রমণ ছাড়াচ্ছে হাজারের গণ্ডি। মহারাষ্ট্রে যেন কোনও ভাবেই সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতি, শুক্র, শনি— গত ৩ দিন ধরেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি কেবল মহারাষ্ট্রেই। এ মাসের শুরুতে মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ দু-আড়াই হাজারের ঘরে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ কিছুদিন ধরে তা আবার বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ৪৮৮ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৮ হাজার ৩৩৩ জন। কেরলে তা সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকেও তা ৫০০-র আশেপাশে।
মহারাষ্ট্রের ২৮টি জেলার অবস্থা বেশ খারাপ। এর মধ্যে ২১টি জেলায় গত ১০ দিনে সংক্রমণ বিপুল বেড়েছে। অমরাবতী, আকোলা, বুলধানা, নাগপুর, নাসিক, ওয়ার্ধা, পুণে, ওয়াসিমে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত ৩ দিনে মুম্বই শহরে রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন ১ হাজারের বেশি। ২৪ ফেব্রুয়ারির ১১৯ দিন আগে শেষবার মুম্বইয়ের দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়েছিল। এই বৃদ্ধির জেরে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেরলে তা সাড়ে ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। কর্নাটকে সাড়ে ৯ লক্ষ, অন্ধ্রতে ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার, তামিলনাড়ুতে সাড়ে ৮ লক্ষ, দিল্লিতে ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার, উত্তরপ্রদেশে ৬ লক্ষ ৩ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার। বাকি রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্ত ৪ লক্ষের কম।
এ বছরের শুরু থেকে দেশে দৈনিক সংক্রমণের থেকে দৈনিক সুস্থ হচ্ছিল বেশি। যার জেরে কমছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা দেড় লক্ষে নেমে এসেছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ফের বাড়তে শুরু করেছে সক্রিয় রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯০ জনে। করোনার জেরে দেশে মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭.১৪ শতাংশ। দেশে দৈনিক মৃত্যুও গত ৪ দিন ধরে ১০০-র বেশি আছে। করোনা নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৩৮ জন।