প্রতীকী ছবি।
উজানির প্রচারপর্ব শেষ হয়েছে গত কাল। আগামীকাল, শনিবার প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ সেখানকার ৪৭টি কেন্দ্রে। এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, অসম গণ পরিষদের সভাপতি তথা মন্ত্রী অতুল বরা, বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা, রাইজর দলের মাথা অখিল গগৈ, অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিণজ্যোতি গগৈ, স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী, জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত, শ্রমমন্ত্রী সঞ্জয় কিষাণ, পূর্ত প্রতিমন্ত্রী যোগেন মহন, পঞ্চায়েতমন্ত্রী নবকুমার দোলে, বস্ত্রমন্ত্রী রঞ্জিৎ দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী অজন্তা নেওগ, রকিবুল হুসেনদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে।
সরকার ধরে রাখার লড়াই বনাম সরকারে ফেরার লড়াইয়ে বিজেপি-কংগ্রেস টক্কর এখন অনেকটাই সমানে-সমানে। তবে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে নতুন আঞ্চলিক দল গড়ে লড়তে নামা অসম জাতীয় পরিষদ ও রাইজর দল। বিজেপির দাবি, আঞ্চলিক দলকে আমল দেবেন না মানুষ। লোকসভার মতোই সিএএ বা এনআরসিকে হাতিয়ার করে শাসকের ভোট কাটার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। তেমনটা হলে, অসমে আঞ্চলিকতাবাদ বড় ধাক্কা খাবে। কারণ, অসম গণ পরিষদ গঠনের সাড়ে তিন দশক পরে ফের আঞ্চলিকতাবাদী শক্তি রাজনৈতিক দল গঠন করে এমন ব্যাপক আকারে ভোটযুদ্ধে নেমেছে। দুই দলই বিজেপি উৎখাতে হাতও মিলিয়েছে।
এ দিকে উজানির ভোট মানেই চা শ্রমিকদের ভোটের বিরাট অংশ। বিজেপি চা শ্রমিকদের জন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলেও দৈনিক মজুরি প্রতিশ্রুতি মতো ৩৫১ টাকা করতে পারেনি। আপাতত তা ১৯৩ টাকায় আটকে। কংগ্রেস দাবি করেছে, ক্ষমতায় আসার ৬ ঘণ্টার মধ্যে মজুরি ৩৬৫ টাকা করা হবে। গত বিধানসভা ও লোকসভা বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া বাগানের ভোট এবার কোনদিকে ঝোঁকে সেটাই দেখার।
প্রথম দফায় ১২ জেলায় মোট ভোটার ৮১,০৯,৮১৫। ওয়েবকাস্টিং হবে ৫০ শতাংশ বুধে। প্রথম দফায় প্রার্থীর সংখ্যা ২৪১। তার মধ্যে ২৩ জন মহিলা। প্রধান দলগুলির মধ্যে বিজেপি ৩৯, কংগ্রেস ৪৩, অজাপ ৪১, অগপ ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।