রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।—ছবি পিটিআই।
আগামী ৩১ জুলাই থেকেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব জানিয়ে ফের রাজ্যপালের কোর্টে বল পাঠালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে মরিয়া গহলৌতের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, সচিন পাইলটের শিবির থেকে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক গহলৌতের পক্ষেই ভোট দেবেন।
এ দিকে, সার রফতানিতে অর্থ তছরুপের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গহলৌতের দাদাকে বুধবার দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ২২ জুলাই অগ্রসেন গহলৌতের জোধপুরের বাড়ি-সহ বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। বলা হচ্ছে, সেই তল্লাশিতে পাওয়া কাগজপত্রের সম্পর্কে জানতেই ডাকা হয়েছে অগ্রসেনকে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, অশোক গহলৌতকে চাপে রাখতেই ২০০৮ সালের পুরনো অভিযোগ খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে 'রেড রাজ' কায়েম করেছেন। কিন্তু আমরা ভয় পাচ্ছি না।’’
বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে তাঁর আপত্তি নেই বলে জানালেও রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিধানসভার কর্মসূচি কী এবং অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চান কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকার তাঁকে জানিয়েছে, বিধানসভার কর্মসূচি বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটি ঠিক করবে। করোনা-আবহে কী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে, সে প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের যুক্তি, বিধানসভার স্পিকার তা ঠিক করবেন। রাজ্যপালের তৃতীয় প্রশ্ন, বিধায়কদের ২১ দিনের নোটিস দেওয়া যায় কি না? মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার ৩১ জুলাই থেকেই অধিবেশন ডাকতে চায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার রাজ্যপালকে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব পাঠালেন গহলৌত।
কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের কথামতো কাজ করছেন। মোদী সরকারের মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। আর রাজ্যপাল অধিবেশন ডাকা নিয়ে টালবাহানা করে বিজেপি তথা সচিন পাইলটের হাতে আরও সময় তুলে দিতে চাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘#গেট ওয়েল সুন গভর্নর’ বলে প্রচারও শুরু করেছে কংগ্রেস ।
এরই মধ্যে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে শেখাওয়াতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জয়পুরের আদালত। কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত একটি সংস্থা তদন্ত রোখার জন্য রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেছে। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছে।