Ashok Gehlot

রাজস্থানের ভোটে গহলৌতই দায়িত্বে, পাইলট সহযোগী

সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আলাদা ভাবে বিধানসভা ভোট নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৯
Share:

অশোক গহলৌত। —ফাইল চিত্র।

সচিন পাইলট নয়, রাজস্থানের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকেই বিধানসভার অধিকাংশ আসনে টিকিট বিলির দায়িত্ব দিল কংগ্রেস হাই কমান্ড। রাজস্থান কংগ্রেসে অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের মধ্যে যে বিবাদ মিটে গিয়েছে, কংগ্রেস হাই কমান্ড চাইছে— গহলৌত ও পাইলট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একসঙ্গে একটি জনসভা করে সেই বার্তা দিন।

Advertisement

সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আলাদা ভাবে বিধানসভা ভোট নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন। মঙ্গলবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজস্থানে কংগ্রেসের জয়ের জন্য গহলৌতকে যাবতীয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিধানসভার ২০০টি আসনের মধ্যে গহলৌতকে ১২৫ থেকে ১৩০টি আসনে টিকিট বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে সচিন পাইলট-সহ অন্য নেতাদের সুপারিশ অনুযায়ী টিকিট দেওয়া হবে। তবে সেই প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্বও সেই নেতারাই নেবেন। প্রয়োজনে বিধায়কদের আসন বদল করা, নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়া ও পুরনো বিধায়কদের বাদ দেওয়ার ক্ষমতাও অশোক গহলৌতকে দেওয়া হয়েছে।

রাজস্থানে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। এ বার গহলৌতকে সামনে রেখেই সেই প্রথা ভাঙতে চাইছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, পাইলট এখন পুরোপুরি গহলৌতের পাশে। সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জাতগণনা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি গহলৌতের জাতগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়ার প্রশংসা করেছেন। বিজেপির টিকিট না-পাওয়া বসুন্ধরা রাজের বেশ কিছু অনুগামীর নির্দল হিসাবে লড়াই গহলৌতের অঙ্ক। তাঁরা ভোট কেটে কংগ্রেসের সুবিধা করে দেবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তিন জন বিজেপি নেতা নির্দল হিসাবে লড়ার ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের পরে বিজেপি রাজস্থানেও সাংসদদের প্রার্থী করেছে। গহলৌতের বক্তব্য, সাংসদদের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করে বিজেপি আগেই হার স্বীকার করে নিয়েছে। কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে গহলৌত এখন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার কে, সেটাও বিজেপি খোলসা করে বলতে পারছে না। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে পিতৃপক্ষের পরেই কংগ্রেস প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হবে। কারণ পিতৃপক্ষ বা শ্রাদ্ধপর্বের মধ্যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা অশুভ। গহলৌতের বক্তব্য, ১৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পরে রাজস্থানের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হবে।

মধ্যপ্রদেশে অবশ্য বিজেপি পিতৃপক্ষের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ শিবরাজকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আপনি ভালই জানেন, বিজেপির মধ্যেই আপনার ব্যক্তিগত শত্রুরা বসে রয়েছেন, যাঁরা আপনার ক্ষতি করতে কোনও কসুর করছে না।” ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল অবশ্য ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে নিশ্চিত। মঙ্গলবার তিনি দলের রণকৌশল নিয়ে বৈঠকের সময়ে এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেত্রী কুমারী শৈলজার পাশে বসেই মোবাইলে ক্যান্ডিক্রাশ খেলছিলেন। তা নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করায় বঘেল জানিয়েছেন, খাওয়াদাওয়ার পরে তিনি ক্যান্ডিক্রাশ খেলেন। ইচ্ছা হলে তিনি ডাংগুলি খেলবেন, ক্যান্ডিক্রাশ খেলবেন। জনতা বিজেপিকে ‘ক্যান্ডি’-র মতোই ‘ক্রাশ’ করবে। শৈলজা মনে করছে, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস এ বার ৯০টির মধ্যে ৭৫টি আসনে জেতার ‘মিশন ৭৫’ ছুঁতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement