মাদক মামলার তদন্তে কি এনআইএ? গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডের তদন্তভার কি এনআইএ-র হাতে যেতে চলেছে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এমনই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মুম্বইয়ে।
গত ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার অভিযোগে আরিয়ান-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতারির মধ্যে দিয়ে যে মামলার শুরু, মাস পেরোতে না পেরোতে তাতে বিতর্কের ঘনঘটা। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে নিজে বিতর্কে জড়িয়েছেন। মাদক মামলার সাক্ষীদের নিয়েও তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। লেগেছে রাজনীতির রংও।
এই প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার কি এনসিবি-র হাত থেকে এনআইএ-র হাতে চলে যাচ্ছে? গোপন সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, খুব সম্ভবত এই মামলার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং তার জেরে দেশের নিরাপত্তার উপর সম্ভাব্য বিপদের তদন্তভার যেতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
ওই সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, মুম্বইয়ে এনসিবি-র জোনাল কার্যালয় ঘুরে গিয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। প্রায় দু’ঘণ্টা সময় তাঁরা কাটান মুম্বইয়ের এনসিবি জোনাল কার্যালয়ে।
গত ২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খান-সহ কয়েক জনকে আটক করে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি)। ৩ অক্টোবর গ্রেফতার দেখানো হয় আরিয়ানদের। কিন্তু তার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের ঝাপটা এসে লেগেছে মাদক-তদন্তে।
ব্যক্তিগত বিভিন্ন অভিযোগে জড়িয়েছেন মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানদের আটক করার সময় এনসিবি দলের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়েও উঠে গিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। পাশাপাশি এনসিবি যাঁদের মামলার সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছিল, তাঁদেরও কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন এনসিবি ও সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। উঠেছে বিরাট অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ। সব মিলিয়ে মাদক তদন্ত এনসিবি-ই জর্জরিত একাধিক বিতর্কে। এই অবস্থায় কি এনসিবি-র হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে এনআইএ-কে?
ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, মাদক তদন্তের উপর যাতে অবাঞ্ছিত কোনও বিতর্ক এসে না পড়ে, সে জন্যই তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। আবার একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তদন্তভার হাতছাড়া করতে নারাজ কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কারণ তাতে সংস্থার গায়ে ‘ব্যর্থ’ ছাপ লেগে যেতে পারে। যা ভবিষ্যতের তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন এনসিবি কর্তাদের একটি অংশ। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় জঙ্গি যোগের কোনও ব্যাপার উঠে আসেনি।