Arvind Kejriwal

সাড়া দিলেন না সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ভেস্তে গেল আপের তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির পরিকল্পনা

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আপ প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৫
Share:

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেজরীর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফাইল চিত্র ।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে দূরে রেখে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তে মরিয়া আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নৈশভোজের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না সাত বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে বিজেপি এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই এমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করতে চাইছিলেন আপ প্রধান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই মর্মে ৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ মোট সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। ১৮ মার্চ শনিবার দিল্লিতে সেই নৈশভোজ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। লক্ষ্য ছিল, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে সকলকে ‘প্রগতিশীল মুখ্যমন্ত্রীদের’ ঐক্যবদ্ধ করে রণকৌশল তৈরি করা এবং ভোটের হিসাব কষে নেওয়া। সূত্রের খবর, কেজরীওয়ালের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেজরীর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যদিও গত মাসে চন্দ্রশেখরের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি’র নাম বদলে ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতি’ করার কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন কেজরীওয়াল।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে চন্দ্রশেখরই প্রথম অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেস জোট তৈরির জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু অন্য দলগুলির প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সেই প্রচেষ্টা ত্যাগ করে নিজের দলকে তেলঙ্গানার বাইরে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য দিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ আপ প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি। যদিও তৃণমূল দলনেত্রী মমতা লোকসভা নির্বাচনে একা লড়বেন বলে আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিশেষ আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছিলেন নীতীশও। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও বলেছেন, ‘‘নীতীশ কুমার দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান না এবং আমিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না। আমরা যেখানে আছি আমরা খুশি।’’

বাকি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও ১৮ মার্চ কেজরীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নৈশভোজে উপস্থিত হননি বলেই সূত্রের খবর। বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্টের মুখ হিসাবে কেজরীওয়ালের গ্রহণযোগ্যতা কম হওয়ার কারণেই নাকি কেউ তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেননি বলে অন্দরের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement