অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ রয়েছে শাসকদল আম আদমি পার্টি (আপ)-র। তবু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল ঘোষণা করেন যে, শুক্রবারই বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনবেন। কেন হঠাৎ তিনি এমন কথা বললেন সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গত মাসেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের ‘কেনা’র চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তরফে আপ বিধায়কদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব ‘রেকর্ড’ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন কেজরী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের সাত জন বিধায়কের দলবদলের জন্য বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।’’
অন্য দিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরীওয়ালকে হাজিরা দিতে বলেছেন বিচারক। এই মামলায় মোট ছ’বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছে ইডি। কিন্তু পাঁচ বারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। সেই কারণে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেই মামলায় বিচারক নির্দেশ দেন, কেজরীওয়ালকে সশরীরে আদালতে এসে জানাতে হবে কেন ইডির তলব এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই আবহে গত বুধবার আবারও ইডি নোটিস পাঠায় কেজরীকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আপ সুপ্রিমোকে।
শুক্রবার আচমকা কেন ‘আস্থা ভোট’-এর কথা বললেন, তার ব্যাখ্যা দেননি কেজরী। উল্লেখ্য, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৬। আপের বিধায়ক ৬২ জন। বিজেপির মাত্র আট।