কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র সভাপতি কেজরী চান, দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য জারি করা বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স)-কে স্থায়ী রূপ দিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংসদে বিল আনলে বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ ভাবে তার বিরোধিতা করুক। সেই উদ্দেশ্যেই তিনি রাহুল-খড়্গের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তিনি।
কেজরীওয়াল নিজেই দেখা করার জন্য রাহুল এবং খড়্গের সময় চাওয়ার কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘বিজেপি সরকারের জারি করা অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সংসদে কংগ্রেসের সমর্থন পেতে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর কেন্দ্রের আঘাত নিয়ে আলোচনা করতে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গেজি এবং রাহুল গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ (শুক্রবার) সকালে সময় চেয়েছি।’’
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে। কেজরীর এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। গত এক দশক ধরে সন্তর্পণে বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখা আপ-প্রধান ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে অবস্থান বদলানোর বার্তা দিতে চেয়েছেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।
কেন্দ্রের সঙ্গে অর্ডিন্যান্স-সংঘাতে দিল্লির আপ সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানাতে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে চলেছেন কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী এবং আপ সাংসদ রাঘব চড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। বুধবার মুম্বইয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মুম্বইতেই এনসিপি সভাপতি শরদের সঙ্গে কেজরীর বৈঠক হয়।
তিন দলের নেতানেত্রীই অর্ডিন্যান্স-বিতর্কে কেজরীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরে আপ-প্রধান জানিয়েছিলেন, রাহুল এবং খড়্গের কাছে দেখা করার সময় চাইবেন। যদিও আপের ডাকে কংগ্রেস কতটা সাড়া দেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের অন্দরের খবর, এ বিষয়ে দিল্লি এবং পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চায় হাই কমান্ড। কারণ ওই দুই রাজ্যেই আপের সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের।