প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর কাজকর্ম নিয়ে আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে প্রশ্ন! নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে আজ মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। চিঠিতে বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে ৫টি প্রশ্ন ছুড়ছেন আম আদমি পার্টির প্রধান। প্রধান প্রশ্নটি হল, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীর বয়স ৭৫ বছর হওয়ায় তাঁদের অবসর দিয়ে মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম খাটবে তো?
নরেন্দ্র মোদী সপ্তাহ খানেক আগেই ৭৪ বছরে পা দিয়েছেন। আগামী বছর তিনি পঁচাত্তরে পড়বেন। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত নরেন্দ্র মোদীর থেকে মাত্র ছয় দিনের বড়। ভাগবত নিজে ৭৫-এ পা দিয়ে সরসঙ্ঘচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। তা হলে মোদীর উপরেও চাপ তৈরি হবে। এক বছর আগে থেকেই কেজরীওয়াল এই অবসর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন কি না, তা যে আরএসএসের উপরে নির্ভর করছে, সেই বার্তাও কেজরীওয়াল দিয়েছেন।
রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমে যাওয়ার পরে ভাগবত কখনও সরাসরি, কখনও ঠারেঠোরে মোদী সরকারকে বার্তা দিয়েছে। এত দিন মোদীর প্রবল জনপ্রিয়তার সামনে আরএসএস চুপ থাকলেও আসন কমতেই আরএসএস মাথা তুলেছে। কেজরীওয়াল সেই বিরোধও উস্কে দিতে চেয়েছেন। ভাগবতকে তিনি প্রশ্ন করেছেন, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা লোকসভা ভোটের সময় বলেছিলেন, বিজেপির এখন আর আরএসএসকে প্রয়োজন নেই। এতে কি আরএসএস একমত?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে রবিবার যন্তর মন্তরে ‘জনতার আদালত’ থেকে কেজরীওয়াল আরএসএসকে ৫টি প্রশ্ন ছুড়েছিলেন। মোদীর কাজে সঙ্ঘ খুশি কি না, না কি আরএসএস আর মোদীকে শাসন করার ক্ষমতা রাখে না? কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “ছেলে কি এখন এত বড় হয়ে গিয়েছে, যে মাকে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে?” আজ সেই ৫টি প্রশ্নই কেজরীওয়াল লিখিত ভাবে ভাগবতের সামনে তুলে ধরেছেন।
কেজরীওয়াল জানতে চেয়েছেন, বিজেপি যে ভাবে সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগাচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্ঘের মূল্যবোধ কি মেলে? বিজেপি আজ যাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলছে, কাল সে-ই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্ঘ এক মত কি না? ভাগবতকে কেজরীওয়াল বলেছেন, বিজেপি যে পথে চলছে, তাতে দেশের গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে। সঙ্ঘেরই দায়িত্ব বিজেপিকে পথে আনা।