মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরীবাল
ফলাফলে যখন জয় স্পষ্ট হয়ে আসছে, তখনই অরবিন্দ কেজরীবাল ফোন করেন তাঁর ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘সুখবর’ জানানোর পর প্রাথমিক ভাবে কথা হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও। আপ সূত্রের খবর, ওই ফোনালাপে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতার দিল্লি আসা নিয়ে প্রাথমিক কথাও হয়।
কিন্তু তার পরেই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যান কেজরী। মমতা কেন, বিজেপি-বিরোধী কোনও আঞ্চলিক দলকেই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। মমতার সঙ্গে কেজরীর রাজনৈতিক সখ্য নতুন নয়। কিন্তু আজ শপথ গ্রহণের মঞ্চ থেকে বক্তৃতায় কেজরীবাল বলেন, ‘‘অনেক রাজ্য বিদ্যুতের দাম ৭৫-১০০ ইউনিট করে কমিয়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এটাই দিল্লি মডেলের বিশেষত্ব। গোটা দেশ দিল্লির স্বাস্থ্য-শিক্ষা মডেলের দিকে তাকিয়ে আছে।’’ তাঁর মডেলকেই তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গে অনুকরণ করছে, এটাই সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন কেজরী।
চলতি বাজেটে মমতা ঘোষণা করেছিলেন, বিদ্যুতে তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিলে টাকা নেবে না রাজ্য সরকার। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, দিল্লিতে কেজরীর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণটি কি অনুকরণ করছে তৃণমূল? তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই জনমুখী পদক্ষেপ করে আসছেন। এটা নতুন কিছু নয়।’’