—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে গ্রেফতার আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর তীব্র বিরোধিতা করে আপের বক্তব্য, প্রয়োজনে জেলে বসেই সরকার চালাবেন কেজরী। কিন্তু কোনও মতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আট বার ইডির সমন এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ইডি কেজরীকে তলব করেছিল। তাতে সাড়া না দিয়ে রক্ষকবচ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। এর পরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকদের দল। প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানার পর থেকেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আপ কর্মী-সমর্থকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেজরীর বাসভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এর পরেই কেজরীকে গ্রেফতার করে সেখান থেকে ইডির সদর দফতরে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী মারলেনার বক্তব্য, গত দু’বছর ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছেন অন্তত ৫০০ আধিকারিক। তার পরেও এখনও পর্যন্ত এক টাকা উদ্ধার করতে পারলেন না তাঁরা। কী যুক্তিতে কেজরীকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অতিশী বলেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি, প্রয়োজনে জেলে বসেই সরকার চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন কোনও আইন নেই যে তাতে বাধা দেবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি।’’ একই কথা জানিয়েছেন দিল্লির আর এক মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।
দিল্লি হাই কোর্ট কেজরীর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করার পর ইডির হানা শুরু হয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়েছিল। সে কথাও জানালেন অতিশী।