অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
এখনও উদ্বেগজনক দিল্লির দূষণের পরিস্থিতি। তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে মন্ত্রীদেরও, এই বার্তা দিয়ে এ দিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।
এ দিন সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৪২০, অর্থাৎ ‘মারাত্মক’ (সিভিয়ার)। দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নানা রকমের অবহেলার কারণে দূষণের পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এর পরে তিনি জানান, আগামী দিনে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মন্ত্রীরা মাঠে নেমে কাজ করবেন। উত্তর ও উত্তর-পূর্বের জেলাগুলির দায়িত্বে থাকবেন গোপাল রাই নিজে। মন্ত্রী কৈলাস গহলৌত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলিকে দেখবেন। আর এক মন্ত্রী অতিশী মার্লেনা থাকবেন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের জেলাগুলির দায়িত্বে। মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিল্লি ও নয়াদিল্লির দায়িত্ব। এ ছাড়া, মন্ত্রী ইমরান হোসেন ও রাজ কুমার আনন্দের দায়িত্বে থাকবে বাকি এলাকাগুলি। নির্মাণস্থল, বাস ডিপো-সহ বাকি জায়গাগুলি থেকে যাতে আগামী দিনে দূষণ না বাড়ে, সে দিকেও নজর রাখবেন মন্ত্রীরা।
দিল্লি ও তার সংলগ্ন রাজ্যগুলির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। নাড়া পোড়ানোকে দায়ী করে তা কমাতে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দিল্লি সরকারের তরফে আজ জানানো হয়েছে, কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামাতে তারা তৈরি। দিল্লি প্রশাসনের এক আধিকারিক আজ বলেনছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি সাহায্য করে, তা হলে দিল্লি সরকার কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামাতে যাবতীয় খরচ বহন করতে প্রস্তুত। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’ ওই আধিকারিক জানান, কানপুর আইআইটির পরামর্শ মতো প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিষয়টি নিয়ে দিল্লি সরকারের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টে জানাবেন।
দিল্লি দূষণ নিয়ে কেজরীওয়াল সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লির দূষণ রুখতে ‘স্মগ টাওয়ার’ কোনও সমাধান নয়। পঞ্জাবের কৃষকদের ফসলের গোড়া পোড়ানো দিল্লি দূষণের প্রধান কারণ। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকার আর দিল্লি দূষণ আটকাতে আর ‘স্মগ টাওয়ার’ তৈরি করবে না।