রাহুলের সামনে কেঁদে ফেললেন মহিলা। ছবি: টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
শনিবার জম্মু কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রাহুল গাঁধীদের। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই। সেই যাত্রাপথেই বিমানের মধ্যে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি-সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, যাতেঅস্বস্তি বাড়তে পারে মোদী সরকারের। বিমানের মধ্যেই রাহুলের সামনে কার্যত কেঁদে ফেললেন কাশ্মীরের এক মহিলা। রাহুলকে শোনান তাঁর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা। আর তাতেই ৩৭০ ধারা রদের পর উপত্যকার অভ্যন্তরের আরও এক খণ্ডচিত্র চলে এল প্রকাশ্যে।
শনিবার কংগ্রেসের পক্ষে রাহুল গাঁধী, বামেদের তরফে ডি রাজা, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীর মতো বিরোধীদলগুলির ১২ জন প্রতিনিধি জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। সেখান থেকেই তাঁরা ফিরে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু দিল্লি থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে বিমানের ভিতরের একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে টুইটারের সৌজন্যে। তার কোনওটিতে রাহুলদের বিমানের ভিতরে লাগেজ রাখতে দেখা যাচ্ছে, কোনওটিতে আবার টিভি সাংবাদিকদের লাইভ টেলিকাস্ট চলছে। এক তরুণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করছেন রাহুল— এমন একটি ভিডিয়োও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে।
তারই একটি ভিডিয়োতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর তাঁদের কী দুর্দশা এবং কি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সেই কথা শোনাচ্ছেন এক মধ্যবয়সি কাশ্মীরি মহিলা। রাহুলকে তিনি বলছেন, ‘‘আমার ছেলেমেয়েকে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না। আমার ভাই হৃদরোগাক্রান্ত। ১০ দিন ধরে তিনি ডাক্তার দেখাতে পারেননি। আমরা খুব বিপদে আছি।’’ ভিডিয়োতেই দেখা যাচ্ছে, এই কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই মহিলা। রাহুলকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে।
আরও পড়ুন: বরাবরের মুশকিল আসান, কিন্তু ভোটের ময়দানে জেটলির সাফল্য প্রায় শূন্য
আরও পডু়ন: বাড়ির কাছেই পড়ে মহিলার গলাকাটা দেহ, বেহালা পর্ণশ্রীতে চাঞ্চল্য, আটক স্বামী-মেয়ে-জামাই
শ্রীনগর বিমানবন্দরে রাহুলদের আটকে দেওয়ার পর সেখানকার পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তার একটিতে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশে রাহুলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সরকার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।রাজ্যপাল বলছেন, আমি আমন্ত্রিত। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, আমি এসেছি, কিন্তু আপনারা বলছেন যেতে দেওয়া হবে না। আবার সরকার বলছে, সব কিছু স্বাভাবিক। সব যদি স্বাভাবিকই থাকে, তাহলে আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এটা তো আশ্চর্যজনক।’’