ডোভালের পদক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত কটাক্ষ করল কংগ্রেস। ছবি: পিটিআই
ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শোপিয়ান উপত্যকায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে গত বুধবারই কথা বলছেন, খাওয়াদাওয়া করছেন। এবার সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস।
কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল নিয়ে যখন গোটা দেশে শোরগোল, তখনই ডোভাল কাশ্মীরে পৌঁছন। গত মঙ্গলবার সেখান থেকেই কেন্দ্রে তিনি রিপোর্ট পাঠান কেন্দ্রে। তিনি জানান,কাশ্মীরবাসী স্বাগত জানিয়েছে এই সিদ্ধান্তকে। বুধবার আরও একধাপ এগিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সংস্থার একটি ভিডিওতে দেখা যায় এলাকাবাসীর সঙ্গে কাশ্মীরের ভবিষ্যত তথা সরকারে পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন তিনি। এলাকাবাসীর সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়েই দুপুরের খাবার খান ডোভাল। তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সমস্ত ঠিক হয়ে যাবে। কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই কার্যকলাপকে আক্রমণ করে বললেন,‘‘পয়সার লোভ দেখিয়ে যে কোনও কাউকে হাজির করা যায়।’’
আরও পড়ুন: ‘ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বদলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করুন’, কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বলল আমেরিকা
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পদক্ষেপ যাতে উপত্যকায় কোনও অশান্তি তৈরি করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে সেনাকর্মীদের প্রতিটি পদক্ষেপ খতিয়ে দেখেছেন ডোভাল, যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে সেনাকর্মীরদের পিঠ চাপড়ে দেন ডোভাল। বৃহস্পতিবার শোপিয়ান উপত্যকার একটি ক্যাম্পে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। পিঠ চাপড়ে দিয়ে সেনাকর্মীদের তিনি উৎসাহিত করেন, আপনারা ভাল কাজ করেছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। গোলাম নবি আজাদের দাবি, স্থানীয় দু’একজন মানুষকে পয়সার বিনিময়ে ভাড়া করেছে সরকার। আসল চিত্রটা অন্য। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরই ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে কার্ফু জারি করে রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল। কাশ্মীরের সামগ্রিক ছবিটা বোঝা না গেলেও রোষের আগুন রয়েছে। শ্রীনগরে গত বুধবার পুলিশ-সাধারণ মানুষের অশান্তি হয়েছে। মারা গিয়েছে ১৭ বছর বয়সি এক যুবক।
বিজেপির তরফে শাহনাওয়াজ হুসেন এদিন ডোভালের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘‘গুলাম নবির এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দলের সদস্যের এই প্রতিক্রিয়া দুর্ভাগ্যজনক। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই প্রতিক্রিয়াকে হাতিয়ার করবে। গুলাম নবি আজাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’