অমিতের দাবি সন্ত্রাস মুছবে কাশ্মীরে, একমত নন বাজপেয়ী জমানার ‘র’ প্রধান

বাজপেয়ী জমানার র’ প্রধান এ এস দুলাতের মতে, সন্ত্রাসবাদ আরও মাথাচাড়া দিতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫০
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রাক্তন ‘র’ প্রধান এ এস দুলাত। —ফাইল চিত্র

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পরে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা একমত নন। বাজপেয়ী জমানার র’ প্রধান এ এস দুলাতের মতে, সন্ত্রাসবাদ আরও মাথাচাড়া দিতে পারে।

Advertisement

আজ চেন্নাইয়ে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত বলেন, ‘‘আমি মনে করি, ৩৭০-এ দেশ ও কাশ্মীরের কোনও উপকার হয়নি। একই ভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার মনে কোনও সংশয় নেই যে ৩৭০ বিলোপের পরে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে যাবে এবং কাশ্মীর উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।’’ উপরাষ্ট্রপতিও বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা সময়ের দাবি ছিল। দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

র’-এর প্রাক্তন প্রধান দুলাত অবশ্য একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম যেমন বলেছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের রূপকারেরা একদিন অনুতাপ করবেন। আমিও তেমনই মনে করি। কাশ্মীরকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে,
নিরাপত্তা-সন্ত্রাসের বিষয়টি জানার ফলে আমার আশঙ্কা, এতে সন্ত্রাসবাদ বাড়তে পারে। এখনই তা না হলেও আগামী দিনে হবে।’’

Advertisement

আপাতত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাথাব্যথা হল, কার্ফু ও নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি তুলে নেওয়ার পরেই প্রতিবাদ-হিংসা-বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেলে তা সামলানো। একই সঙ্গে পাকিস্তানও নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি ছোড়া ও অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা ইতিমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। পাকিস্তানের দিক থেকে আরও বেশি অস্ত্র, গোলাগুলি পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও গোয়েন্দারা রিপোর্ট
দিয়েছেন। কারণ উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অস্ত্র, গোলাগুলির ঘাটতি রয়েছে। গত সপ্তাহেই উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ৫০০ মিটার ভিতরে তিনটি একে-৪৭, তিনটি পিস্তল, এক ডজন গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাসম্ভব সংযত থাকতে বলা হয়েছে। এমনিতেই শুক্রবারের নমাজের পর উপত্যকার বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস, ছররা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, খবর ঠিক নয়। বড় মাপের কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়নি। দুলাতের মতে, ‘‘কাশ্মীরিরা চাপের মুখে মাথা নামিয়ে নেয়। কিন্তু পরে আবার মাথা তোলে। হাল ছাড়ে না। এটাই ইতিহাস।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement