বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র বিহারের চম্পারণ।
এক বন্দির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিহারের চম্পারণ জেলার বেতিয়া। উত্তেজিত জনতা হামলা চালাল থানায়। ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তাদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেলে। অনিরুদ্ধ যাদব নামে এক ব্যক্তিকে সকালে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে বালথার থানার পুলিশ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখে তারা। লকআপে থাকাকালীনই ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অনিরুদ্ধের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ক্ষেপে ওঠেন তাঁর আত্মীয়-পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। পুলিশ দাবি করে, লকআপে থাকাকালীন মৌমাছি কামড়ায় অনিরুদ্ধকে। তাতেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু অনিরুদ্ধর পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, লকআপে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয়েছে অনিরুদ্ধর।
এই ঘটনার পরই বালথার থানায় হামলা চালায় বিশাল সংখ্যক মানুষ। থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। উত্তেজিত জনতার হামলায় বেশ কয়কে জন পুলিশকর্মী আহত হন। অভিযোগ, জনতার ছোড়া গুলিতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত পুলিশকর্মীর নাম রামযতন সিংহ।
বেতিয়ার পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ বর্মা ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে লক-আপে বন্দিকে পিটিয়ে মারা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।