Wayanad Landslide

বিপর্যয় হলেই ডাক পড়ে তাঁর, ২৪ ঘণ্টায় সেতু বানিয়ে বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন সীতা

ওয়েনাড়ে সেনার যে দলটি বেইলি ব্রিজ বানিয়েছে, সেই দলেরই এক ইঞ্জিনিয়ার মেজর সীতা। ধসবিধ্বস্ত সেই ওয়েনাড়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন সীতা এবং তাঁর দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৫
Share:

ওয়েনাড়ের ‘আশার আলো’ মেজর সীতা। ছবি: সংগৃহীত।

বিপর্যয় এলেই ডাক পড়ে তাঁর। এ বারও ডাক পড়েছিল কেরলের ওয়েনাড়ে। ধসে বিচ্ছিন্ন এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া গ্রামগুলিতে উদ্ধারকাজ যাতে দ্রুত হয়, দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য অস্থায়ী সেতু বানানোর প্রয়োজন ছিল। খরস্রোতা নদীর উপর দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেতু বানিয়ে ওয়েনাড়ের সেই ধসবিধ্বস্ত গ্রামে উদ্ধারকারীদের পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেন।

Advertisement

তিনি সেনা অফিসার সীতা অশোক শেলকে। ওয়েনাড়ে সেনার যে দলটি বেইলি ব্রিজ বানিয়েছে, সেই দলেরই এক ইঞ্জিনিয়ার মেজর সীতা। ধসবিধ্বস্ত সেই ওয়েনাড়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন সীতা এবং তাঁর দল। চূড়ালমালা এবং মুন্ডাক্কাই গ্রামে পৌঁছনোর জন্য অস্থায়ী সেতু বানাতে ডাক পড়েছিল সেনার মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ-এর। সেই দলের ১৪৪ জন সদস্য বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় সেতু বানানোর কাজ শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সেই সেতু বানানোয় ধসবিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছন উদ্ধারকারীরা। আর এই সেতু বানিয়েই এখন ওয়েনাড়ের ‘হিরো’ সীতা এবং তাঁর দল।

সীতা সংবাদমাধ্যম ‘অনমনোরমা’কে বলেন, “এই সেতু তৈরিতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্যই আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যে সহযোগিতা আমার স্থানীয়দের কাছ থেকে পেয়েছি, তা অভাবনীয়। স্বেচ্ছাসেবকরাও তাঁদের সামর্থ্য মতো আমাদের সহযোগিতা করেছেন।”

Advertisement

বয়স পঁয়ত্রিশ। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের গাড়িলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সীতা। তৃতীয় বারের চেষ্টায় এসএসবি পরীক্ষা পাশ করেন তিনি। সেনা হতে চেয়েছিলেন। পছন্দের বিষয় ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই সেনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেই কাজে যোগ দেন। ২০১৫ সালে জম্মু-শ্রীনগর ১ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় ডাক পড়েছিল যে দলের, সেই দলে ছিলেন সীতা। আবারও ডাক পড়েছে তাঁর। এ বার তিনি পৌঁছে গিয়েছেন কেরলের ওয়েনাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement