ওয়েনাড়ে ধসকবলিত এলাকায় চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
ওয়েনাড়ের ধসকবলিত এলাকা থেকে যখন একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে, তার মধ্যেই একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হল একই পরিবারের চার জনকে। চূড়ালমালা গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পারাভেট্টিকুন্নুতে একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ি থেকে শুক্রবার ওই চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, এক মহিলা এবং একটি মেয়েও রয়েছেন। ধসের পর ওয়েনাড়ের চার গ্রামে যখন হাহাকার চলছে, একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে, সেই সময় জীবিত অবস্থায় চার জন উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই চার জনকে সেনার হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেপ্পাড়ির পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, যে চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জনকে তিনি চেনেন। তাঁর নাম জনি। ওই এলাকায় তাঁর জমিজমাও রয়েছে। বাকি তিন জন জনির পরিবারের সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে। ধসের পর উদ্ধার হওয়া বাসিন্দাদের পারাভেট্টিকুন্নু থেকে ত্রাণশিবিরে পাঠানো হয়েছিল আগেই। শুক্রবার থেকে পারাভেট্টিকুন্নুর ভগ্নপ্রায় বাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানোর সময়েই এই চার জনকে দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। চূড়ালমালার এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে, ধসের সময় উঁচু কোনও জায়গায় সরে গিয়েছিলেন জনি ও তাঁর পরিবার। ফলে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা।
কেরল পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি শুক্রবার জানিয়েছেন, প্রায় ৩০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। ৩৪৮টি বাড়ি পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধারকারীদের ৪০টি দল আবার উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। চূড়ালমালাতে উদ্ধারকাজে আরও গতি আনার জন্য বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই অস্থায়ী সেতু বানিয়েছে সেনা। মুন্ডাক্কাই এবং পুঞ্জিরিমাত্তম গ্রামে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ধসকবলিত মুন্ডাক্কাই এবং চূড়ালমাকে মোট ছ’টি অঞ্চলে ভাগ করে উদ্ধারকাজ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ওয়েনাড়ের জেলাশাসক মেঘাশ্রী ডি আর। প্রথমে আত্তামালা এবং আরানমালা, দ্বিতীয় মুন্ডাক্কাই, তৃতীয় পুঞ্চিরিমাত্তম, চতুর্থ ভেলারিমালা গ্রাম, পঞ্চম জিভিএইচএএস ভেলারিমালা এবং শেষে নদীরপারগুলিতে উদ্ধারকাজ চালানো হবে।