‘বীর’ কুকুরের মৃত্যু। ছবি: টুইটার
জীবন বিপন্ন করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ‘জ়ুম’। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও হার মানলেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির এই কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শ্রীনগর পশু হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন ছিল সে।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ হাসপাতালে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত সারমেয় জ়ুম মৃত্যুবরণ করেছে। ১১.৪৫ পর্যন্তও সে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয় আচমকা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসা চলাকালীন হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জ়ুমের। তার পরেই সে মারা যায়।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার অভিযানে জ়ুমের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। সেনাবাহিনী জানায়, তার বীরত্বের কারণেই খতম করা গিয়েছে দুই লস্কর জঙ্গিকে। গুলিবিদ্ধ হলেও কর্তব্যে অবিচল ছিল জ়ুম।
সোমবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনার সঙ্গে অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হয় জ়ুম। ভোররাত থেকেই সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। জঙ্গিদের পিছনে ক্ষিপ্র গতিতে ধাওয়া করেছিল জ়ুম। নিজের প্রাণের তোয়াক্কা করেনি। সেই সময় তার গায়ে দু’টি গুলি লাগে।
তবে গুলির আঘাত সত্ত্বেও কর্তব্যে অবিচল ছিল জ়ুম। তার তৎপরতার কারণেই দুই জঙ্গিকে কাবু করা গিয়েছে বলে জানায় সেনা। সোমবারের অভিযানে জ়ুম ছাড়াও আহত হন দু’জন সেনা জওয়ান।
বস্তুত, কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে দীর্ঘ দিন ধরেই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় বাহিনী ব্যবহার করছে সেনা। গত অগস্টে সেনার সঙ্গে অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছিল বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির অন্য একটি কুকুর। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আফগানিস্তানের জালালাবাদ এয়ারস্ট্রিপ থেকে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের ঠিকানার উদ্দেশে উড়ে যাওয়া আমেরিকা নেভি সিল বাহিনীর দু’টি হেলিকপ্টারের একটিতে সওয়ার ছিল ‘কায়রো’ নামে বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির একটি কুকুর।