শর্তসাপেক্ষে ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে সেনা। ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে ভেঙে পড়েছিল সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত হওয়া ধ্রুব হেলিকপ্টার। তার পরই সারা দেশে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হেলিকপ্টারের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেনা। প্রায় চার মাস পরে উঠল সেই নিষেধাজ্ঞা। আবারও হালকা ওজনের আধুনিক বিমান হিসাবে খ্যাতি পাওয়া ধ্রুবকে ব্যবহার করবে সেনা। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কেবল নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে এই হেলিকপ্টারটিকে।
সেনার তরফে বলা হয়েছে, নিখুঁত পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার পর যে হেলিকপ্টারগুলিকে ‘যোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, একমাত্র সেগুলিই ব্যবহার করা যাবে। আরও বলা হয়েছে ‘সীমিত এবং আপৎকালীন’ প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হবে ধ্রুব হেলিকপ্টারকে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হেলিকপ্টারটির প্রস্তুতকারক সংস্থা হ্যাল। তাদের তরফে মৌখিক ছাড়পত্র মিলেছে বলে সেনা সূত্রের খবর।
বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ১৪৫টি ধ্রুব হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে বায়ুসেনা ব্যবহার করে ৭০টি, নৌসেনা ব্যবহার করে ১৮টি আর উপকূলরক্ষী বাহিনী ব্যবহার করে ২০টি। গত ৪ মে কাশ্মীরের কিশ্তওয়ারে ভেঙে পড়ে সেনার একটি ধ্রুব হেলিকপ্টার। ঘটনায় এক জন মারা যান, দু’জন আহত হন। তারও আগে মার্চ মাসে বায়ুসেনার ব্যবহৃত একটি ধ্রুব হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তার পরেই এই হেলিকপ্টার ব্যবহার সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখে সেনা।