সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা অবমাননাকর মন্তব্য কিংবা আপত্তিকর ছবি নিয়ে এ বার কড়া বার্তা দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই সাত খুন মাফ হয়ে যায় না। সমাজমাধ্যমে কিছু পোস্ট করা হলে, তার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।”
২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রবীণ অভিনেতা এস ভে শেখরের বিরুদ্ধে মহিলা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন শেখর। কিন্তু ১৪ জুলাই সেই আর্জি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেতা।
শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানিতে শেখরের আইনজীবী জানান, মহিলা সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর মক্কেলের যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। সে দিনের ঘটনার উল্লেখ করে আইনজীবী আরও জানান যে, বৃদ্ধ অভিনেতা চোখে ওষুধ দেওয়ার কারণে সমাজমাধ্যমের পোস্টটির মর্মার্থ বুঝতে পারেননি। তাই কিছু না বুঝেই অন্য এক জনের করা পোস্ট শেয়ার করে ফেলেন নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে। তাই বৃদ্ধ অভিনেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। যদিও এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ।
শেখরের আইনজীবী আদালতে এ-ও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মক্কেল ভুল বুঝতে পেরে নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্ষমা চাওয়াই যে যথেষ্ট নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা খুব জরুরি নয়। কিন্তু ব্যবহার করলে তার যে কোনও রকম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।” শেখরের ওই পোস্টের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুতে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই সংক্রান্ত মামলায় শেখরকে নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ারও ‘পরামর্শ’ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।