বিজ্ঞাপনে ক্ষমাপ্রার্থী, তবু গলল না বরফ

শেষ পর্যন্ত খবরের কাগজে বিবৃতি পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন দেবপ্রিয় সোমের মা-বাবা! ছেলের ‘বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য’-র জন্য কেউ মনে আঘাত পেয়ে থাকলে তাঁরা দুঃখিত, বিবৃতিতে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪০
Share:

শেষ পর্যন্ত খবরের কাগজে বিবৃতি পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন দেবপ্রিয় সোমের মা-বাবা! ছেলের ‘বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য’-র জন্য কেউ মনে আঘাত পেয়ে থাকলে তাঁরা দুঃখিত, বিবৃতিতে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

গত ১ এপ্রিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁদের উপস্থিতিকে ঘিরে একদল ছাত্র বিক্ষোভ দেখায়। পড়ে সঙ্ঘবিরোধী পোস্টার, ওঠে স্লোগান। বিজেপি তথা সঙ্ঘ সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের বচসা হয়। দেবপ্রিয়ও ওখানে ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে শিলচরে তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায় ‘হিন্দু সংহতি’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীরা। যাদবপুরের পরিস্থিতি থিতিয়ে গেলেও শিলচরে হুমকি, পাল্টা হুমকি থেমে নেই। দেবপ্রিয়কে শিলচরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় হিন্দু সংহতি। সোম পরিবার শুরু থেকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে।
কিন্তু বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় এনএসইউআই, অল বরাক ইয়ুথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (অবিসা) প্রভৃতি সংগঠন। তারা পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

এর পরই দেবপ্রিয়র মা-বাবা দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি পাঠান। তাঁরা বার বার বলেন, ‘‘আমরা শুধু চাই, ছেলেটা যেন শান্তিতে থাকে।’ কিন্তু দীপঙ্করবাবুদের এই দুঃখ প্রকাশেও মন ভরেনি হিন্দু সংহতির কর্মকর্তাদের। সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব নাথ বলেন, ‘‘অন্য কিছু সংগঠন যখন পাল্লা-চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তখন আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসার প্রশ্নই ওঠে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement