অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠে সংসদের কাজকর্ম যাতে স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে তার জন্য শীর্ষ আদালতে দায়ের করা হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, লক্ষ্মণ রেখা অতিক্রম করে সংসদের কাজে শীর্ষ আদালত কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার এবং বিরোধী—দু’পক্ষের বিরোধের জেরে বার বার অচল হয়েছে সংসদের দু’কক্ষই। অধিবেশন চলাকালীন সংসদ যাতে স্বাভাবিক ভাবে চলে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এ’দিন মামলাটির আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি অমিতাভ রায় বলেন, সাংসদরা প্রত্যেকেই অভি়জ্ঞ। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহল। সংসদের কাজকর্ম দেখার জন্য স্পিকারই উপযুক্ত। কেন স্বাভাবিক ভাবে চলছে না সংসদ—তা দেখা শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাই এ বিষয় তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানান বিচারপতিরা।
জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়, গত ছয়টি অধিবেশনে সংসদের দু’হাজার ঘণ্টার বেশি নষ্ট হয়েছে। সাংসদদের অবিমৃষ্যকারিতার জন্য দিনের পর দিন নষ্ট হয়েছে জনসাধারণের টাকা। বিরোধীদের বাধায় গত বাদল অধিবেশনের অধিকাংশ দিনই চলেনি সংসদ।
বিচারপতিরা উল্টে প্রশ্ন তোলেন, সংসদের অচলাবস্থা নিয়ে এত যে বড় বড় কথা বলা হচ্ছে। মামলা করা হচ্ছে। কী হচ্ছে দেশের অন্য আদালতে? সেখানে কি আইনজীবীরা বিক্ষোভ না চালিয়ে আদালত চলতে দিচ্ছেন। অসুবিধায় পড়ছেন না কি জনসাধারণ? তার বেলায় কি হচ্ছে?