প্রতীকী ছবি।
ইউক্রেনে আটকে পড়া অসমের ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। কিয়েভ থেকে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁদের ফেরার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। ভারত সরকার ছাত্রছাত্রীদের কোনওভাবে পোল্যান্ড বা হাঙ্গেরি চলে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে আটকে পড়া ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র যোরহাটের প্রয়াস শর্মা জানান, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, “তোমরা এখানেই থাক। কিচ্ছু হবে না। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, তোমরা যা ভাল বোঝে কর। শ্রেণিকক্ষও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখনও অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে। শুনেছি কুখ্যাত চার্নোবিল পারমাণবিক প্রকল্পেও বোমা পড়েছে। তাই দ্রুত ফিরতে চাই।”
প্রয়াসের মা মরমি গোস্বামী শর্মা বলেন, “এখনও ইউক্রেনে ইন্টারনেট কাজ করছে বলে ছেলের খবরটুকু পাচ্ছি। ইন্টারনেট বন্ধ হলে কী হবে জানি না।” ডিগবয়ের মিলন নগরের বাসিন্দা, ইউক্রেনে পাঠরত ডাক্তারি ছাত্রী রাজশ্রী বড়ো বাড়িতে জানিয়েছেন, রাতে অন্য ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে তাঁকেও বাঙ্কারে থাকতে হচ্ছে। দোকান-বাজার ও এটিএম বন্ধ হওয়ায় খুবই সমস্যা পড়েছেন রাজশ্রী। ভারত সরকারের কাছে মেয়েকে ফেরানোর আবেদন জানান তাঁর বাবা ৈঅনন্ত বড়ো।
এ দিকে মেঘালয়ের অন্তত ২৪ জন ছাত্রছাত্রী এখনও ইউক্রেনে আটকে আছেন। রাজ্যের মুখ্য সচিব রেবেকা ভি সুচিয়াং জানান রাজ্য সরকার এ নিয়ে ভারতীয় দূতাবাস ও বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। মন্ত্রী জেমস সাংমা জানান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকে কথা বলেছেন। মেঘালয়ে আটকে থাকা রাজ্যের ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য ৯৩৬৬০৬৬৫৬৫ ও ৯৮৬৩২৫৭২৬১ এই হেল্পলাইন দুটিও চালু করা হয়েছে।