সি টি রবি। ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যের তালিকাটা ক্রমশ বড় হচ্ছে। প্রথমে কপিল মিশ্র, তার পর অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ বর্মা। এ বার এই তালিকার নতুন সংযোজন কর্নাটকের বিজেপি মন্ত্রী সি টি রবি। অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্যকে সমর্থন করে তিনি বললেন, “দেশদ্রোহীদের বিরিয়ানি নয়, গুলি খাওয়া উচিত।”
বুধ বার টুইট করে রবি বলেন, “দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য যাঁরা অনুরাগ ঠাকুরকে আক্রমণ করছেন, তাঁরাই আজমল কসাব এবং ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরাই আবার টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-কে সমর্থন করছেন। সিএএ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন।” এর পরই তাঁর মন্তব্য, “এই সব দেশদ্রোহীদের বিরিয়ানি নয়, বুলেট খাওয়া উচিত।”
সোমবারই দিল্লিতে এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, দেশের সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাদের গুলি করে মারা উচিত। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অনুরাগকে। নির্বাচন কমিশন তাঁর এই মন্তব্যে জন্য রিপোর্ট তলব করে। যদিও অনুরাগ এই মন্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় থেকেছেন। অনুরাগ-বিতর্ক কাটতে না কাটতেই দিল্লির আরও এক বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা করে দেব শাহিন বাগ!’’ প্রবেশের সেই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সি টি রবির এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: ধর্মের নামে বিভাজন কাম্য নয়, সিএএ-র বিরুদ্ধে সওয়াল বিজেপি নেতার
আরও পড়ুন: ফাঁসির তিন দিন আগে ফের সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিত অক্ষয়
সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। সেই বিক্ষোভের আবহেই ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সিএএ নিয়ে বিরোধীরা যখন বিজেপিকে চার দিক থেকে ঘিরে ধরতে চাইছে, সেই সিএএ-কেই হাতিয়ার করে দিল্লিতে ভোট ময়দানে নামছে বিজেপি। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো সিএএ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, এমনই অভিযোগ তুলে রাহুল গাঁধী ও অরবিন্দ কেজরীবালকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের প্ররোচনা দিচ্ছেন রাহুল গাঁধী ও অরবিন্দ কেজরীবাল।” যাঁরা দেশকে ভাগ করতে চাইছে, তাদেরই সমর্থন করছেন কেজরীবাল, এমন অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডাও।