—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল আরও একটি চিতার। জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা চিতাটির নাম ছিল পবন। এই নিয়ে চলতি মাসে দু’টি চিতার মৃত্যু হল কুনোয়। গত ৬ অগস্ট গাছ থেকে পড়ে শিরদাঁড়া়য় চোট পেয়ে মারা গিয়েছিল কুনোয় জন্মানো এক চিতাশাবক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নামিবিয়ার চিতার দেহ একটি জল ভরা নালায় ভাসতে দেখা যায়। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় বন আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, জলে ডুবেই চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ১১টি চিতার মৃত্যু হল এ পর্যন্ত। চিতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই প্রকল্প সমালোচনা এবং প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইতিমধ্যেই।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভান ডার মেরওয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, ভারতে আরও চিতার মৃত্যু হতে পারে। তাঁর দাবি ছিল, অন্য সমস্ত দিক ঠিক থাকলেও চিতা যখন নিজের এলাকা চিহ্নিত করবে বেড়াবে তখন তাকে মোকাবিলা করতে করতে হবে বাঘ এবং চিতাবাঘের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে বিদেশ থেকে আনা চিতার এঁটে ওঠা মুশকিল। যদিও অন্য কোনও প্রাণীর সঙ্গের মারামারিতে এখনও পর্যন্ত কোনও চিতার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বরং নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মৃত্যু হয়েছিল স্ত্রী চিতা দক্ষের। কুনোতে এখন ১২টি শাবক-সহ ২৪টি চিতা রয়েছে।