(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন সফর সেরে ফেরার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফের একবার তাঁর মুখে শোনা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের ভূমিকার কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘শান্তি ফেরাতে ভারত দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজস্ব মতামত পুতিনকে ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে মোদীর পোস্ট, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফরে গিয়ে আমার যা ধারণা হয়েছে, তা জানিয়েছি। দ্রুত, স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের সমর্থন জানাতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ শুধু তা-ই নয়, ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদী।
রাশিয়া সফরের মাস দেড়েক পর মোদী ইউক্রেন গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বার্তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন— ভারত শান্তির পক্ষে। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ভাবে এই যুদ্ধ থামাতে মোদী সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ভারত কোনও পক্ষ নেয়নি। তবে তারা নিরপেক্ষও ছিল না। ভারত বরাবর শান্তির পক্ষে ছিল এবং তা-ই থাকবে।
মঙ্গলবার সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক রাশিয়া সফর নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা পুতিনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়াও পারস্পরিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে জানানো হয়।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে ভারত অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন যখন বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে, তখনও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের সুতো কাটেনি ভারত। দিন কয়েক আগে রুশ সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করে এসেছেন মোদী। তার মাস দেড়েক পর ইউক্রেন যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।